Tapan Kandu Murder Case: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় তাঁরই চার বন্ধুকে তলব সিবিআই-এর
Purulia: ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ তপন কান্দু খুনের দিন এই চার বন্ধু তাঁর সঙ্গে ছিলেন। যদিও, কী কারণে এতদিন পর তাঁদের ডেকে পাঠানো হল সিবিআই-এর তরফে তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় আরও চার প্রত্যক্ষদর্শীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বুধবার তাঁদের ঝালদা বনবাংলোয় সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠান হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দেওয়া সময় অনুযায়ী, এ দিন সকাল সাড়ে ন’টার সময় হাজির হন সুভাষ গড়াই, সুভাষ কর্মকার, যাদব রজক ও প্রদীপ চৌরাসিয়া। জানা গিয়েছে, এনারা প্রত্যেকে মৃত তপন কান্দুর বন্ধু ছিলেন।সূত্রের খবর, ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ তপন কান্দু খুনের দিন এই চার বন্ধু তাঁর সঙ্গে ছিলেন। যদিও, কী কারণে এতদিন পর তাঁদের ডেকে পাঠানো হল সিবিআই-এর তরফে তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রায় তিনঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ঝালদার অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে প্রদীপ চৌরাসিয়া জানান, ১১ই আগস্ট জেলা আদালতে তাদের হাজিরা দিতে হবে। সেই কারণেই আজ আলোচনার জন্য ডাকা হয়। কিন্তু শুধু মাত্র এই টুকুর জন্য তিনঘন্টা আলোচনা যা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠেছে।
বস্তুত, তপন কান্দু মামলায় ১৩ জুন চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই। ৪৭ পাতার ওই চার্জসিটে এই হত্যা কারণ হিসেবে ঘরোয়া বিবাদের দিকেই ইঙ্গিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হত্যার পিছনে তপন কান্দু এবং তাঁর দাদা নরেন কান্দুর পারিবারিক বৈরিতা এবং রাজনৈতিক রেষারেষির উল্লেখ রয়েছে। তবে চার্জশিটে ঝালদার আইসি-কে নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানা যায়।
গত ১৩ মার্চ পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন। জেলা পুলিশের তরফে এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিট (SIT) গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতেই সিট গ্রেফতার করে তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে। এরপর যথাক্রমে গ্রেফতার করা হয় ঘটনায় সুপারি কিলার নিয়োগে অভিযুক্ত কলেবর সিং এবং মহম্মদ আশিক খানকে। তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তপন কান্দুর দাদা তথা ধৃত দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দুকেও। নরেন কান্দুর পরিবার তৃণমূল কংগ্রেস করে। তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সিবিআই গ্রেফতার করে সত্যবান প্রামাণিককে। চার্জশিটে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই হত্যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আরও বলা হয়েছে, দুই সুপারি কিলারকে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। তাদের ধরার জন্য অতিরিক্ত সময় চাওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফ থেকে। খুন করার জন্য ৭ লক্ষ টাকায় রফা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। পুর নির্বাচনের পর দুই ভাইয়ের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকার বাজি ধরার বিষয়টিও উল্লেখ আছে বলে জানা গিয়েছে।





