Purulia: কষ্টের দিন শেষ হতে চলেছে রাঢ়বঙ্গে, পুরুলিয়ার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাবে সরকারি এই পরিষেবা

Purulia: মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে সার্কিট হাউসে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সন্ধ্যা রানি টুডু, জেলাশাসক রজত নন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা।

Purulia: কষ্টের দিন শেষ হতে চলেছে রাঢ়বঙ্গে, পুরুলিয়ার বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাবে সরকারি এই পরিষেবা
চলছে প্রশাসনিক বৈঠক (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2022 | 10:44 AM

পুরুলিয়া: রাঢ়বঙ্গে জল সংকট মেটাতে উদ্যোগী প্রশাসন। টার্গেট জেলার অর্ধেকের বেশি বাড়ি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। ২০২৩ সালকে তাই ‘ওয়ার্কিং ইয়ার’ হিসাবে দেখছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে সার্কিট হাউসে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সন্ধ্যা রানি টুডু, জেলাশাসক রজত নন্দা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসকরা, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের বিভিন্ন আধিকারিকরা।

পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া। সেখানে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া প্রশাসনের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা। মঙ্গল বাড়ির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে জেলার ৫২ শতাংশ বাড়ি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিশ্রুত পানীয় জল সংযোগের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের ব্যাপকতা থাকায় গোটা একটি বছরকে হাতে রাখছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের বাড়ি হোক কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান সব ক্ষেত্রেই পানীয় জল সংযোগ করার কাজ করবে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় মাটির তলায় পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে দফতরটি সেদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পানীয় জল হোক বা অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জল, পুরুলিয়ায় তার সংকট চিরাচরিত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে-বাড়িতে অনুষ্ঠিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। ‘জল স্বপ্ন প্রকল্প’ শীর্ষক কাজের বাস্তবরূপ পেতে চলেছে পুরুলিয়া জেলা। আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য মুকুটমনিপুর জলাধার ও পাঞ্চেত জলাধারকে উৎস হিসাবে কাজে লাগানো হবে। ৫২ শতাংশ বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পৌঁছে যাবে সুপেয় জল। তার পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জেলার সমস্ত অংশে তা ছড়িয়ে দেওয়া নিয়েও আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে।’