Purulia: ভোটের আগে ফের অস্বস্তি শাসক দলের, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা TMC পঞ্চায়েত সদস্যদের

TMC: বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না প্রধান। পঞ্চায়েতের অনন্য সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না তিনি। কার্যত একাই নাকি তিনি পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন। এমনই অভিযোগ দলের সাত পঞ্চায়েত সদস্যের।

Purulia: ভোটের আগে ফের অস্বস্তি শাসক দলের, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা TMC পঞ্চায়েত সদস্যদের
বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2022 | 7:30 AM

পুরুলিয়া: বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। হাতে আর বেশি সময় নেই। চলছে পঞ্চায়েতের রণকৌশল তৈরির পালা। আর এরই মধ্যে পুরুলিয়ায় ফের হোঁচট খাচ্ছে তৃণমূল (TMC)। পুরুলিয়ার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দলেরই কিছু সদস্যের অনাস্থা প্রধানের বিরুদ্ধে। আর এর জেরেই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ফের অনাস্থার আবেদন জমা পড়েছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো পঞ্চায়েতে। তৃণমূলেরই সাত সদস্য অনাস্থা এনেছেন পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না প্রধান। পঞ্চায়েতের অনন্য সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেন না তিনি। কার্যত একাই নাকি তিনি পঞ্চায়েত পরিচালনা করছেন। এমনই অভিযোগ দলের সাত পঞ্চায়েত সদস্যের।

যদিও পাল্টা যুক্তি রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মনিকা মণ্ডলেরও। তাঁর বক্তব্য, তিনি দুর্নীতিতে প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণেই এক শ্রেণির দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্য তাঁকে প্রধানের পদ থেকে সরাতে চাইছেন। সেই কারণেই এই অনাস্থা আনা হয়েছে বলে দাবি প্রধানের। উল্লেখ্য, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১১টি আসন রয়েছে। ভোটের ফলাফলের নিরীখে সাতটি আসন ছিল বিজেপির, তিনটি ছিল তৃণমূলের এবং একটি ছিল নির্দল প্রার্থীর। যদিও পরবর্তীতে নির্দল ও বিজেপির সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন এবং বর্তমানে ১১টি আসনই রয়েছে তৃণমূলের দখলে।

উল্লেখ্য, ছয় মাস আগেও এই বেরো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। তিনিও ছিলেন তৃণমূলের লোক। তাঁর বিরুদ্ধেও খানিক একই ধরনের অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল এবং তাঁকে অপসারিত করা হয়েছিল। ছয় মাস কাটতে না কাটতেই ফের সেই একই ঘটনা বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

পদ্ম শিবির বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়ছে না। বিজেপির জেলা সহসভাপতি গৌতম রায়ের দাবি, ‘কাটমানির ভাগবাটোয়ারা’ নিয়ে সমস্যা হওয়ায় কারণেই বার বার প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্ত অবশ্য জানিয়েছেন, বেড়ো পঞ্চায়েতের আসা ওই অনাস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।