Doctor’s Beaten: এবার পুরুলিয়া! ন’দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বেধড়ক মার চিকিৎসককে
Purulia: চিকিৎসক বলেন, "এরপর ভোর চারটের পর সিস্টার ফোন করে জানান শিশুটি অসুস্থ। সেই কথা শুনে আমি তাকে দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি রোগী বা তার পরিবার নেই। সিস্টারকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় রোগী?"
পুরুলিয়া: নিজের সুরক্ষা নিয়ে কলকাতায় যখন পথে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সময় পুরুলিয়া থেকে ফের উঠে এল মারধরের খবর। ন’দিনের এক শিশুর হাসপাতালে মৃত্যু। সেই অভিযোগে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেধড়ক মার রোগীর পরিবারের লোকজনের। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের কোটশিলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
শনিবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ দশ থেকে বারো জন হাসপাতালে আসেন। সেই সময় কালী সেন মুর্মু নামে এক চিকিৎসক ডিউটিতে। তাঁকে মারধর করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা তেমনটাই অভিযোগ। মারধরের সময় দুষ্কৃতীরা চিকিৎসককে বলে যে, ন’দিন আগে একটি বাচ্চা এই হাসপাতালে মারা যায়। সেই কারণেই চিকিৎসককে মারধর করছেন তাঁরা। ঘটনার পর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোটশিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক কালী সেন মুর্মুর দাবি, শুক্রবার রাত্রি ৮টা নাগাদ ন’দিনের শিশুকে নিয়ে আসেন বাড়ির লোকজন। জ্বরে আক্রান্ত ওই শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও শিশু বিভাগ না থাকায় বাড়ির লোকজনের কাছেই রাখার কথা বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাড়ির লোকজনও রাজি হয়ে যায় এতে। চিকিৎসক বলেন, “এরপর ভোর চারটের পর সিস্টার ফোন করে জানান শিশুটি অসুস্থ। সেই কথা শুনে আমি তাকে দেখতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখি রোগী বা তার পরিবার নেই। সিস্টারকে জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় রোগী? তখন উনি বললেন এখানেই তো ছিলেন। তবে কোন রোগী মারা গিয়েছে বুঝে ওঠার আগেই দেখি কেউ নেই।” নিগৃহীত চিকিৎসক আরও বলেন, “এরপর ভোর ৫টা নাগাদ ১০-১২জন এসে চিকিৎসক আমায় মারধর করে। গালিগালাজ করা হয়।”
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের বিএমওএইচ প্রত্যয় প্রতিম দত্ত বলেন, “এই হাসপাতালে ন’দিনের কোনও বাচ্চা মারা যায়নি। গোটা বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর তদন্ত করে দেখছে।” সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সম্পাদক ডঃ সজল বিশ্বাস বলেন, “বিনা কারণে চিকিৎসককে মারধোর করা হয়েছে। এই হাসপাতালে নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালে বেড সংখ্যা অনুযায়ী রুগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চিকিৎসক সংখ্যা খুবই কম। পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসক লোকবল না দিলে চিকিৎসা হবে কী করে? মুখ্যমন্ত্রী বার বার নিরাপত্তার কথা বলছেন কিন্তু এই হাসপাতালে কোনও নিরাপত্তা কর্মী নেই। চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। বিনা কারণে অন ডিউটি চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে যুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।”