Sahay App : বিপদে বন্ধু যখন অ্যাপ, ‘সহায়’ সম্বলে সোনার হার ছিনতাইয়ের ২ ঘণ্টার মধ্যে পাকড়াও দুষ্কৃতী
Sahay App : ছিনতাইয়ের ছক আগে থেকেই ফেঁদে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। নজরও রাখা হচ্ছিল ওই মহিলার বাড়ির উপরে। বাড়িতে কে কে আছেন, তাঁরা কে কখন কোথায় যান সবই ছিল দুষ্কৃতীদের নখদর্পনে।
পুরুলিয়া : মোবাইলের একটি অ্যাপে (Mobile App) শুধু আঙুল ছোঁয়ানো। তাতেই কেল্লাফতে। সোনার হার ছিনতাই করার মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে হার সমেত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হল পুলিশ। নেপথ্যে “সহায়” নামের একটি অ্যাপ (Sahay App)। এই অ্যাপের মাধ্যমেই হল কাজ। দুই দুষ্কৃতীই আপাতত পুলিশি (Police) হেফাজতে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া শহরের দুলমীর এক মহিলা সম্প্রতি পড়েন দুষ্কৃতীদের কবলে। তাঁর নিজের বাড়ির থেকে সোনার হার ছিনতাই করে দুই দুষ্কৃতী।
ছিনতাইয়ের ছক আগে থেকেই ফেঁদে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। নজরও রাখা হচ্ছিল ওই মহিলার বাড়ির উপরে। বাড়িতে কে কে আছেন, তাঁরা কে কখন কোথায় যান সবই ছিল দুষ্কৃতীদের নখদর্পনে। এরমধ্যে সুযোগ বুঝে ওই মহিলার হার ছিনতাই করে নেয় দুই দুষ্কৃতী। চিৎকার শুরু করেন ওই মহিলা। ততক্ষণে বাইকে চড়ে এলাকা ছেড়েছে ছিনতাইকারীরা। তবে তাঁদের পিছনে ছুটতে শুরু করেন ওই মহিলা। ঘটনা দেখে চোখ কপালে উঠে যায় স্থানীয় দোকানদার মুকুল চন্দ্র মাহাতোর।
উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নিজের মোবাইলে সহায় অ্যাপ খুলে ফেলেন তিনি। সাহায্যের আবেদন করেন। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে পুলিশ। এলাকার একটি সিসিটিভি দেখে পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিতও করা হয়। নাকা পয়েন্টগুলিকে তাঁদের বিবরণ দিয়ে জোরকদমে শুরু হয় তল্লাশি। দেড় ঘণ্টায় মধ্যে ঝালদার একটি নাকা পয়েন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই দুষ্কৃতীকে। তাঁদের নাম শেখ সুলেমান কাঁটাডি ও শেখ নিজাম। দুজনেই ঝালদার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ১৬ মার্চ এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। উপস্থিত বুদ্ধির জন্য এদিন মুকুল চন্দ্র মাহাতোকে সম্মানিতও করা হয় পুলিশের তরফে।