Jhalda: ব্যালট পেপার নিয়ে পালিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা, ঝালদায় নয়া অভিযোগ কংগ্রেসের

Jhalda: তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের মধ্যে এদিন ব্যালট তোলেননি সুরেশ আগরওয়াল। বাকি চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ঝালদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস।

Jhalda: ব্যালট পেপার নিয়ে পালিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা, ঝালদায় নয়া অভিযোগ কংগ্রেসের
ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 6:20 AM

ঝালদা: সাত কাউন্সিলরের সমর্থনে পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গঠন করেছে কংগ্রেস। তবে এই জয়ের আবহেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই পুরসভায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলরা ভোটের ব্যালট পেপার নিয়ম মেনে জমা দেননি। সেই ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশকে ইমেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশ লিখিত অভিযোগ নেয়নি। তাই ইমেল করে তা জানানো হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, তারা কোনও বেনিয়ম করেনি। উল্টে ব্যালট পেপার ইস্যু নিয়ে তারাই আইন ভাঙার অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের মধ্যে এদিন ব্যালট তোলেননি সুরেশ আগরওয়াল। বাকি চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে ঝালদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস।

শুধু থানায় নয়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করেন কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়াল। তাঁর বক্তব্য, ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হতেই ব্যালট পেপার হাতে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন চারজন তৃণমূল কাউন্সিলর। যা একেবারেই বেআইনি। এ বিষয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, “ওদের একজন মনে হয় ভোট দিয়েছে। চারজন ব্যালট পেপার নিয়ে পালিয়েছে। আমরা অবাক হয়ে গেলাম, আদালত নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসক ভোট প্রক্রিয়া সুপারভাইজ করবেন। জেলাশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে এসডিও ছিলেন। অথচ তাঁর ভূমিকা অবাক করার মতো। আমরা হাইকোর্টে এ বিষয়টা তুলে ধরব। দেখা যাচ্ছে, এসডিওর উপস্থিতিতেই কয়েকজন কাউন্সিলর ব্যালট পেপার নিয়ে চলে যাচ্ছেন। অথচ উনি না নিজে আটকাচ্ছেন না পুলিশকে বলছেন। পুলিশও ওদের, প্রশাসনও ওদের। কী মানসিকতা জানি না। তবে আমাদের কাউন্সিলররা এর বিরোধিতা করেছে। এফআইআরও দায়ের করা হবে।”

কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালের অভিযোগ, পুলিশ থানায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় ইমেল মারফত অভিযোগ জানান তাঁরা। যদিও এই ব্যালট-বিতর্ক নিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়ালের বক্তব্য, “ভোটটা তো নিয়ম মেনেই হল না। ভোটে আবার কবে সকলে একসঙ্গে ব্যালট পেপার পায়? একজন ভোট দেওয়ার পর অন্যজনের হাতে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়। এখানে তো ১১টা ব্যালট একসঙ্গে ইস্যু করা হল। আমি এর বিরোধিতা করি। স্পষ্ট বলি, এটা তো নেব না। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। ব্যালট পেপার রাখাই আছে। ফাঁকা পড়ে আছে। ১১টা ব্যালট পেপার ইস্যু হয়েছে, ৭টা ব্যালট পেপার খামের ভিতর আছে। বাকিগুলো বাইরে পড়ে আছে। আদালত বুঝবে সবটা। আমি জেলাশাসককেও জানিয়েছি।”