ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেল আরেক নার্সের শরীরে

গরাহাট ব্লক হাসপাতালে কর্মরত নার্স রুনা লায়লা শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, সারাদিন শরীরে কোনও সমস্যা না দেখা দিলেও হঠাৎই রাত ১২টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেল আরেক নার্সের শরীরে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 18, 2021 | 12:31 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শনিবার থেকে দেশের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে ফ্রন্টলাইনে থাকা কোভিড যোদ্ধাদের। গতকালকের পর আজও ভ্যাকসিন নেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক নার্স।

মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে কর্মরত নার্স রুনা লায়লা শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, সারাদিন শরীরে কোনও সমস্যা না দেখা দিলেও হঠাৎই রাত ১২টা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গা, হাত ও পায়ে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি তাঁর মাথা ঘুরতে থাকে। ততক্ষণাৎ তাঁকে মগরাহাট ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর শরীরে র‍্যাশ লক্ষ্য করেন চিকিৎসকরা। যা আলার্জির লক্ষণ।

সেখানেই চিকিৎসা শুরু হলেও ভোরে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। সকাল থেকে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। তবে এখন নার্স রুনা লায়লা সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, গতকাল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বিধানচন্দ্র রায় হাসপাতালের পিঙ্কি সুর নামের এক নার্স অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও তাঁর স্বামী পরবর্তী সময়ে জানান, ছোটবেলা থেকেই কিছু কিছু ড্রাগের ক্ষেত্রে তাঁর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। ফলে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না। এই প্রসঙ্গে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান শান্তুনু ত্রিপাঠী বলেছেন, “এই ধরনের সমস্যা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে হতেই পারে। ড্রাগ অ্যালার্জির ইতিহাস থাকার কারণে একে প্রত্যাশিত বলা যেতে পারে। এটা ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতেও পারে সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ভয় পাওয়ার বা শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”

আরও পড়ুন: কমল গতি, দেশে দ্বিতীয় দিনে টিকা পেলেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ

গতকাল বাকি যে ১৩ জনের শরীরে এদিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের ক্ষেত্রে সামান্য মাথা ঘোরার ঘটনা দেখা যায়। তবে কাউকে এক ঘণ্টা, কাউকে বা দু’ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর দাবি, “হাজারে ১ শতাংশেরও কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে দেয়, নজরদারিতে আমরা ভারতের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ।” একই সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার এই হারও অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডকে ‘কার্যত নিরাপদ’ মান্যতা রাজ্যের, হাজারে ১ শতাংশেরও কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া