Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Becharam Manna: ‘একটা বেচারাম গেলে হাজারটা বেচারাম প্রস্তুত’, বলছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক

বেচারামের সঙ্গে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদিকা তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একধিক প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরেন সায়ন্তিকা।

Becharam Manna: 'একটা বেচারাম গেলে হাজারটা বেচারাম প্রস্তুত', বলছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক
সিঙ্গুরে সভায় বেচারাম মান্না।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 12:08 AM

সিঙ্গুর: ইডি (ED), সিবিআই (CBI) মিথ্যা মামলায় জেল খাটালেও ভয় পান না। একটা বেচারাম মান্না গেলে হাজারটা বেচারাম মান্না প্রস্তুত আছে। রবিবার সিঙ্গুরে (Singur) বড়া হাওয়াখানায় জনসভা থেকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। পাশপাশি সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের নাম না করে কটাক্ষ করেন বেচারাম (Becharam Manna)।

এদিন মূলত শুভেন্দু অধিকারীর সভার পাল্টা জনসভা করেন বেচারাম মান্না। সেই সভা থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “আমরা লড়াই করছি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক লড়াই করেছি। আমৃত্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকব। তাতে যদি গুলি খেয়ে মরতে হয় মরব।” এপ্রসঙ্গেই সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইকে ‘বুড়ো ভাম’ বলে কটাক্ষ করেন বেচারাম। এরপরই ইডি, সিবিআইয়ের তৎপরতা নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে একহাত নেন সিঙ্গুরের বিধায়ক। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “কত ইডি, সিবিআই আছে আমি আহ্বান করছি, জেলে ঢুকিয়েও দমাতে পারবে না। একটা বেচারাম মান্না গেলে সিঙ্গুরে লড়াই করার জন্য হাজারটা বেচারাম মান্না তৈরি হয়ে গিয়েছে।”

এদিন সিঙ্গুরের আন্দোলন করতে গিয়ে ৪২ দিন জেল খাটার কথাও উল্লেখ করেন বেচারাম মান্না। পাশপাশি পুলিশের মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সিঙ্গুরের বিধায়ক বলেন, “ভেঙে পড়িনি। অভ্যাস রয়েছে।”

এদিন বেচারামের সঙ্গে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদিকা তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সুর চড়ান। পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একধিক প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরেন সায়ন্তিকা।

যদিও বেচারাম মান্না, সায়ন্তিকার মন্তব্যে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার পাল্টা বলেন, “এঁরা জোর করে লোকেদের সভায় নিয়ে এসে ভিড় করছে। ভয় পেয়ে লোকে সভায় যাচ্ছে। আমাদের সভার চাপে পড়েই ওরা ওখানে সভা করছে। তবে এই অস্তিত্ব আগামী দিনে থাকবে না।”