Child Injured: হঠাৎ বাজি এসে লাগল পেটে, মুহুর্তের মধ্যে আগুনে ঝলসে গেল নাবালক
South 24 pargana: জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে দাঁড়িয়া গ্রামে দিদির বাড়িতে সে বেড়াতে গিয়েছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মর্মান্তিক ঘটনা জেলায়। বাজির আগুনে ঝলসে গেল নাবালক। গুরুতর জখম অবস্থায় বাচ্চাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনাস্থান দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে জয় হালদার নামে ওই নাবালকের বাড়ি দক্ষিণ ঘোলা গ্রামে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে দাঁড়িয়া গ্রামে দিদির বাড়িতে সে বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর গত মঙ্গলবার দক্ষিণ ঘোলা-র বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও বাজি পোড়ানো উৎসব দেখার জন্য জামাইবাবু মহেশ্বর হালদারের অনুরোধ করেন। তাই সে দিদির বাড়িতেই থেকে যায়।
জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে সন্ধ্যা থেকেই দাঁড়িয়া গ্রামে চলছিল বিভিন্ন ধরনের বাজি পোড়ানোর প্রতিযোগিতা। মেলায় অন্যান্য অসংখ্য লোকের সঙ্গে মাঠে বাজি পোড়ানো প্রতিযোগিতা দেখছিল ওই নাবালক।
এরপর ঘটে যায় বিপদ। রাত প্রায় ১০টা নাগাদ আচমকা বাজির আগুন ঠিকরে গিয়ে তার পেটে লাগলে মারাত্মক ভাবে পুড়ে গিয়ে জখম হয়। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তড়িঘড়ি ওই নাবালকের মা জয়ন্তী হালদার ও জামাই বাবু মহেশ্বর হালদার তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই আশাঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নাবালক।
নাবালকের জামাইবাবু মহেশ্বর হালদারের অভিযোগ’ অন্যান্য বছরের ন্যায় এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছিল।মেলার মাঠেই চলছিল বাজি পোড়ানো প্রতিযোগিতা। আচমকা বাজির আগুন ঠিকরে গায়ে লাগলে ঝলসে যায়। সেই মুহূর্তে সাহায্যের জন্য মেলা কমিটি কিংবা অন্যান্যরা কেউই সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি।
উল্লেখ্য, এদিকে নদিয়ায় বাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে হাঁসুলির কোপ মারার অভিযোগ তৃণমূল নেতার। কালীপুজোয় আইন অমান্য করেই দেদার ফেটেছে শব্দবাজি। শব্দে কান পাতা দায়! আইনের বালাই নেই! কিন্তু সেই শব্দবাজি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিশুদের কাছে। ভয়ে কান্নায় কুঁকড়ে যাচ্ছে তারা। এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে নৃশংসভাবে ‘খুন’ (Murder)হলেন এক বৃদ্ধ। তাও আবার শাসকদলের নেতার অঙ্গুলিহেলনে! কেন এই নাশকতা? উঠছে প্রশ্ন।
মৃত সুভাষ বিশ্বাসের পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গ্রামে ব্যাপক শব্দবাজি ফাটানো হলে ভয়ে কুঁকড়ে যাচ্ছিল শিশুরা। কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল তারা। বাড়ির ছোট শিশুদের কথা ভেবে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুভাষ। স্পষ্ট গিয়ে জানান, বাজি ফাটালে বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। তাই বাজি ফাটানো বন্ধ করতে। কিন্তু, অভিযোগ সুভাষের প্রতিবেশীরা তা শোনেননি। সেই প্রতিবেশীদের তালিকায় ছিলেন খোদ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। সুভাষবাবু প্রতিবাদ করতেই তৃণমূল নেতার নির্দেশে আচমকা তাঁর দিকে ধেয়ে আসেন বেশ কিছু দুষ্কৃতী। বাড়ি থেকে তাঁকে টেনে এনে গ্রামের মন্দিরের সামনে মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপরেই এলোপাথাড়ি তাঁকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ।