নৃশংস! ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লাঠি খুঁচিয়ে আঘাত! মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নির্যাতিতা

Crime News: ওই ক্লাবের এক সদস্যের কথায়, দিন দুয়েক আগে তাঁদের ক্লাবের সামনে বসে থাকতেন মহিলা। তাঁরা সবাই মিলে তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করতেন। গত ২ তারিখ রাতেও মহিলাকে খাবার খেতে দেন। তার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সকালবেলা ক্লাবে আসার পথে ওই মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু মহিলা তো ছিলেন ক্লাবের সামনের একটা জায়গাতেই।

নৃশংস! ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লাঠি খুঁচিয়ে আঘাত! মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নির্যাতিতা
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 8:44 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধর্ষণ। তার পর লাঠি, বাঁশ দিয়ে তাঁর যৌনাঙ্গে আঘাত করে পালায় অভি যুক্ত। ন্যক্কারজনক এই ঘটনায় শনিবার এক তরুণকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার অক্ষয়নগর এলাকায়।

রক্তাক্ত অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে রাস্তার উপর অচৈতন্যভাবে পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকজন স্থানীয়। তাঁরা স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য। মহিলাকে গুরুতর এবং সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালে। পরে ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বের করা হয় অভিযুক্তকে। ধরা পড়ে বছর কুড়ির ধলু ওরফে দেবা দাস নামে এক যুবক। এর পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার কাকদ্বীপ মহাকুমার আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এ ই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ওই ক্লাবের এক সদস্যের কথায়, দিন দুয়েক আগে তাঁদের ক্লাবের সামনে বসে থাকতেন মহিলা। তাঁরা সবাই মিলে তাঁর খাবারের ব্যবস্থা করতেন। গত ২ তারিখ রাতেও মহিলাকে খাবার খেতে দেন। তার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। সকালবেলা ক্লাবে আসার পথে ওই মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু মহিলা তো ছিলেন ক্লাবের সামনের একটা জায়গাতেই। সন্দেহ হতেই ক্লাবের সিসিটিভি খতিয়ে দেখন তাঁরা। তার পরের দৃশ্যে কার্যত হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখা যায়, স্থানীয় ধলু নামে এক যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে বাজারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর পর ওই যুবককে ধরে নিয়ে আসা ক্লাবে। সে স্বীকার করে অপরাধের কথা। পুলিশে খবর দেন ক্লাবের সদস্যরা। এর পর গ্রেফতার করা হয় তাকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ক্লাবের সদস্যরা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ঠাঁই দেয় তাদের কাছে। ক্লাব চত্বরেই থাকতেন তিনি। ক্লাবের সদস্যরা তাঁকে খাবার দাবার দিতেন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে খাবার দেওয়ার পর চলে যান সদস্যরা। পরদিন সকালে মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করে। সিসিটিভি-তে দেখা যায় নৃশংস দৃশ্য। ধর্ষণের পর লাঠি দিয়ে যৌনাঙ্গে আঘাত করা হয় চল্লিশোর্ধ্ব ওই মহিলার। তার পর তাঁকে সেখানে ফেলে পালায় অভিযুক্ত।

গুরুতর অবস্থায় ওই মহিলা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সদস্য ও স্থানীয়রা। একইসঙ্গে এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরে অক্ষয়নগর এলাকার একটি ক্লাবের বারান্দায় থাকতেন ওই ভারসাম্যহীন মহিলা। ক্লাবের সদস্যরাও নিয়মিত তাকে খাবারও দিতেন। শুক্রবার সকালে ওই মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর অচৈতন্য ভাবে পড়েছিলেন। যা দেখে হতবাক হয়ে যান ক্লাবের সদস্যরা। পরে ক্লাবের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। পরে ক্লাবের সদস্যরা সেই ফুটেজ তুলে দেয় পুলিশের হাতে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আরও পড়ুন: পুরনো শত্রুতার জের, পঞ্চায়েতের অফিসে ঢুকে প্রধানের উপর ধারালো অস্ত্রের কোপ!