অ্যাম্বুলেন্স ত্রাসের মধ্যে ত্রাতা অর্পণ, বিনামূল্যে অটোতে পৌঁছে দিচ্ছেন করোনা রোগীদের

লাগামহীন অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া। চলছে অসাধু চক্র। আর তার মধ্যেই দিশা দেখাচ্ছেন জয়নগরের এই অটোচালক।

অ্যাম্বুলেন্স ত্রাসের মধ্যে ত্রাতা অর্পণ, বিনামূল্যে অটোতে পৌঁছে দিচ্ছেন করোনা রোগীদের
এই অটোতেই পরিষেবা দিচ্ছেন অর্পণ
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 1:18 PM

জয়নগর: সংক্রমণের জেরে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে দেশ জুড়ে। হাসপাতালে বেডের অভাব থেকে শুরু করে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চোখে পড়ছে সর্বত্র। এরই মধ্যে যন্ত্রণা বাড়িয়েছে অ্যাম্বুলেন্সের কালোবাজারি। করোনা সংক্রামিত রোগী কিংবা করোনার উপসর্গ যুক্ত অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে মাত্রাহীন ভাড়া চাওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। আর তার জেরে রীতিমতো হেনস্থার শিকার হচ্ছে রোগীর পরিবার। সঠিক সময়ে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। এ সব অসাধুতার মধ্যেই ত্রাতা হয়ে উঠেছে জয়নগরের অর্পণ। করোনা রোগীদের নিজেই নিয়ে যাচ্ছে অটো চালিয়ে।

অসাধু অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা মানুষের এই চরম দুর্দিনে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চড়া দর হাঁকিয়ে দিচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই ভাড়া চোকাতে গয়নাগাটি পর্যন্ত বন্দক দিতে হচ্ছে আক্রান্তের পরিবারকে। ঠিক এমন দিনেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া জয়নগরের এক অটোচালক। নিজের উপার্জনের একমাত্র সম্বল  ওই অটো। করোনা রোগীদের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দিচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই জয়নগরের দক্ষিণ বারাশত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক অটোচালক অর্পণ মন্ডল তাঁর পরিষেবা দেওয়ার বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন এলাকায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম ও ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্পণ উপার্জন ভুলেই করোনা রোগীদের স্বার্থেই জয়নগরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত রোগীদের নিয়ে যাচ্ছেন।অটোর সামনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার বার্তা। মুখে মাস্ক পরা কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার মতো সতর্কতার বার্তাও সেখানে লেখা আছে। অটোতে মজুদ রাখা আছে স্যানিটাইজার ও মাস্ক।

আরও পড়ুন: ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে থাকতে পারে করোনা, আশঙ্কা উসকে দিলেন বিজ্ঞানীরা

ফোন এলেই অটো নিয়ে পিপিইকিট পরে পৌঁছে যাচ্ছেন অর্পণ। তারপর সেখান থেকে নির্দিষ্ট হাসপাতালে করোনা রোগীকে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অর্পনের এই নিরলস প্রচেষ্টায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।