Wife murders Husband: ‘ওর সম্পর্ক আসলে দেওরের সঙ্গেই, আমি তো ঢাল’, ভাঙড় খুনে আত্মসমর্পণ ‘তৃতীয় ব্যক্তির’
Bhangar Murder: বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের বামনঘাটা কোচপুকুর গ্রামে আনসুর আলি গাজি নামে এক ব্যক্তি খুন হন। সম্পর্কের নেপথ্যে উঠে আসে বিবাহ বহির্ভূত তত্ত্ব।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। শনিবার রাতেই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় আত্মসমর্পণ করলেন ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছোট্টু শেখ। পুলিশের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেন ছোট্টু। তাঁর বক্তব্য, এই খুনের ঘটনায় প্রধান মাথা মৃতের দাদা মহাসিন গাজি। তিনি এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনিই তাঁকে দিয়ে এই খুন করিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন ছোট্টু। ছোট্ট আরও দাবি করেছেন, আদতে তাঁর সঙ্গে নয়, দেওর অর্থাত্ মহাসিনের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে মৃতের স্ত্রী মুসলিমা বিবির। আর পরিকল্পিতভাবে এই খুন করে নিজেকে তাঁকেই ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছেন তৃণমূল নেতা। ভাঙড়ের (Bhangar) খুনের ঘটনার তদন্তের মোড় ঘুরে গেল ১৮০ ডিগ্রি।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের বামনঘাটা কোচপুকুর গ্রামে আনসুর আলি গাজি নামে এক ব্যক্তি খুন হন। সম্পর্কের নেপথ্যে উঠে আসে বিবাহ বহির্ভূত তত্ত্ব। প্রথমে জানা যায়, স্ত্রী মুসলিমা বিবির সঙ্গে এলাকার যুবক সাইদুল ওরফে ছোট্টুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাই পথের কাঁটা সরাতেই এই খুন।
ঠিক এই তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্ত এগোচ্ছিল। পুলিশ গ্রেফতার করে মুসলিমা বিবিকে। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ফেরার ছিলেন সাইদুল ওরফে ছোট্টু। মুসলিমা তাঁর বয়ানে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা টিপে বালিশ চাপা দেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করেন ছোট্টু। তিনি ঘরে ঢুকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেন। শনিবার রাতের আগে ঠিক এই বয়ানের ভিত্তিতেই পুলিশ পদক্ষেপ করছিল। কিন্তু এসবের মধ্যে রাতেই ঘটনার মোড় নেয় অন্য। রাতে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এই ঘটনার অন্য অভিযুক্ত ছোট্ট। পুলিশের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। আর তাতেই পুরো বিষয়টাই ঘুরে যায়।
ছোট্ট তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে নয়, আদতে দেওর অর্থাত্ মহাসিনের সঙ্গেই মুসলিমা বিবির সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সেই সম্পর্ককে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। ইদানীং আনসুর আলি তা জানতে পেরে গিয়েছিলেন। আর তাতেই খুন।
মহাসিন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাই ভয়ে তিনি প্রথমে কিছু বলতে পারেননি। এই ঘটনায় ছোট্টুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি একেবারে জটিল। এদিকে ছোট্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে, একথা জানার পরই তাঁর বাড়িতে ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটেছে।
মুসলিমা বিবি দাবি করেছেন আরও একটি বিষয়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্বামী ছেলের বউয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছিলেন। এই নিয়ে পরিবারের বিবাদ ছিল। সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতেই খুন। তবে এই খুনে এলাকার দাপুটে নেতার নাম উঠে আসায় উত্তেজনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।
তৃণমূল নেতা মহাসিনের এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Wife murders Husband: ‘ও বালিশ চাপা দিয়েছিল, আমি পা দুটো ধরে ছিলাম’, পরকীয়ার জেরেই খুন স্বামী!