Physical Assault: ধর্ষণেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল? অভিযুক্তের পাশে আরাবুল-কাইজার দাঁড়ানোয় তীর্যক প্রশ্ন বিজেপির

Physical Assault: যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, "আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।"

Physical Assault: ধর্ষণেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল? অভিযুক্তের পাশে আরাবুল-কাইজার দাঁড়ানোয় তীর্যক প্রশ্ন বিজেপির
আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 3:31 PM

ভাঙড়: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করছিলেন এক মহিলা। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করেন তিনি। রবিবারের সেই ঘটনার পর মঙ্গলবার ভাঙড় থানায় পৌঁছন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁরা থানা গিয়ে বড়বাবুর সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, “আমরা কারোর জন্য সুপারিশ করতে যাইনি। তবে ন্যায় বিচারের জন্য পুলিশকে বলেছি।”

গত রবিবার ভাঙরের এক তৃণমূল নেতার  বিরুদ্ধে ভাঙড় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক গৃহবধূ। মগরাহাটের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর অভিযোগ প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ী তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছেন। এমনকি নির্যাতিতাকে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেও প্রলুব্ধ করে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। যদিও, ঘটনার পরই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই নেতা এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদের ঘনিষ্ঠ।

এই ঘটনার পর এ দিন ভাঙড় থানায় আসেন আরাবুল ও কাইজার জুটি। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন থানার বড় বাবুর সঙ্গে। এই বিষয়টিকেই ভালভাবে মেনে নেয়নি বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই থানায় গিয়েছেন তারা। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “ভাঙড়ের এক তৃণমূল নেতা ধর্ষণে অভিযুক্ত। এখানে তৃণমূলে এতটাই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যে ধর্ষণেও গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সামনে আসছে। আজকে কাইজার আহমেদ ও আরাবুল ইসলাম পৌঁছন থানায়। দোষীকে ছেড়ে দিতে পুলিশের উপর চাপ দিচ্ছে। ওদের দাবি, তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী নাকি ফাঁসাতে এই কাজ করেছে।”

যদিও, পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কাইজার জানিয়েছেন, ওই তৃণমূল নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। দলেরই অপর গোষ্ঠী ফাঁসিয়েছে। এখানে এক তোলাবাজ নেতা আছেন যিনি দলের নাম করে তোলাবাজি করছেন এবং দলের অপরগোষ্ঠীকে কালিমা লিপ্ত করছেন। পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজ করছেন বলে দাবি করেন কাইজার। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ।