Cyclone Jawad: চোখ রাঙাচ্ছে জাওয়াদ, পূর্বাভাস মিলতেই শুরু মাইকিং, খোলা হয়েছে ৭ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র
West Bengal Rains: অতীতের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে বাড়তি কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কুলতলি ব্লক প্রশাসন।
কুলতলি: পুরী ছুঁয়ে বাংলার দিকে এগোচ্ছে জাওয়াদ (Jawad)। জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। তার মধ্যে কলকাতা দুই চব্বিশ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস মিলতেই কুলতলির বাসিন্দাদের জন্য খোলা হয়েছে ৭ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র
অতীতের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে বাড়তি কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ কুলতলি ব্লক প্রশাসন। তাই জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে ভাগেই বাড়তি সর্তকতামূলক বন্দোবস্ত গ্রহণ করেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী কুলতলি ব্লক প্রশাসন। কারণ মাতলা ও ঠাকুরান ছাড়াও কয়েকটি নদীর তীরবর্তী এই ব্লক এলাকা হওয়ায় এখানকার কুন্দখালি-গোদাবর , গোপালগঞ্জ, দেউলবাড়ি-দেবীপুর, গুড়গুড়িয়া- ভুবনেশ্বরী ও মৈপীঠ- বৈকন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা ওই সাতটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে পুরো মাত্রায় তৈরি রাখা হচ্ছে। যাতে অপৎকালীন পরিস্থিতিতে সেখানে নদী লাগোয়া এলাকার মানুষকে নিরাপদে তুলে এনে রাখা যায়।
ঝড়ের সময় যাতে দেওয়াল চাপা পড়ে জীবনহানির মতো ঘটনা না ঘটে সেই জন্যই বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ব্লক প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে শুক্রবার থেকেই সেগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। যাতে নদী লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড়ের আগেই নিরাপদ সেই আশ্রয় কেন্দ্রে তুলে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। আজ বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র সহ নদী উপকুল এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কুলতলি ব্লকের বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী ও কুলতলী থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
এই বিষয়ে নামখানা বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর জানান, “ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই মাইকিং শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই জনগণকে সচেতন করতে শুরু করেছি আমরা। উপকূলের বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আপতকালীন সমস্ত ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, দুর্যোগ মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের সর্তকতা প্রচারের পাশাপাশি শুক্রবার দুপুরে কাকদ্বীপ ও নামখানা ব্লকের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ২৫ সদস্যের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। এদিন বিকেলে দলের সদস্যরা কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট এলাকায় মহড়া প্রদর্শনের পাশাপাশি মুড়িগঙ্গা নদী পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করার পাশাপাশি উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার আবেদন জানায়। অন্যদিকে সাগরদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা ব্লকের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। এছাড়া কাকদ্বীপ মহাকুমার চারটি ব্লকে মোতায়েন থাকছে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
আরও পড়ুন: Cyclone Jawad Live: বাংলার দিকেই এগোচ্ছে জাওয়াদ, কতটা প্রভাব পড়বে? আপডেট জানুন…