Doctor’s Suicide: ডিভোর্সের অভিনয়েই ফাঁদ রিয়ার? তাতেই ডুবলেন ডায়মন্ড-হারবারের ডাক্তারবাবু?
Doctor’s Suicide: ডাক্তারবাবু আর নেই। রবিবার মধ্য রাতে ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা তৈরি হয়। ডক্টর্স কোয়ার্টারের ২০৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয় ডাক্তার কল্যাণাশিস ঘোষের নিথর দেহ।
কলকাতা: একজন ডাক্তারের আত্মহত্যা। তাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক। যার কেন্দ্রে রয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। ঘটনার যতই গভীরে যেতেই উঠে আসছে চমকে দেওয়া সব তথ্য। ‘আমি আর মানসিক চাপ নিতে পারছি না। ফেরার কোনও উপায় নেই। এরা সকলে মিলে আমায় বাঁচতে দিল না।’ সুইসাইড নোট ও স্ত্রীকে করা শেষ ফোন কলে এমনটাই বলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের চিকিৎসক কল্যাণাশিস ঘোষ। যাঁর মৃত্যুতে পরতে পরতে পরতে রহস্যের জাল। মৃত্যুর আগে কাদের কথা বলে গেলেন ডাক্তারবাবু? কারা তাঁদের বাঁচতে দিল না? মূল অভিযুক্ত সহ তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দীর্ঘদিন থেকেই ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে কাজ করছিলেন কল্যাণাশিস। মানুষের সঙ্গে ছিল অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক। করোনা কালে মানুষকে পরিষেবা দিয়ে নাম কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু যে মানুষটা অনেক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেন তিনি নিজে যে প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সেটা কে জানত? বিষয়টা যখন সামনে এল, অনেক দেরি হয়ে গেছে।
ডাক্তারবাবু আর নেই। রবিবার মধ্য রাতে ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পরতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। ডক্টর্স কোয়ার্টারের ২০৪ নম্বর ঘর থেকে উদ্ধার হয় ডাক্তার কল্যাণাশিস ঘোষের নিথর দেহ। মৃত্যুর আগে বাড়িতে ভিডিয়ো কলে ডাক্তারবাবু কথা বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে। কথার সারমর্ম ছিল, আমাকে ওরা বাঁচতে দিল না। আমার আর ফেরার উপায় নেই। এই ওরা কারা? কারা তাঁকে বাঁচতে দিল না? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রথমেই দুটি নাম উঠে আসে। ডায়মন্ড হারবারের একটা বারের মালিক অভিজিত্ দাস ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিয়া। গোটা ঘটনার কেন্দ্রে নাকি এই রিয়া।
সূত্রের খবর, রিয়ার সঙ্গে কল্যাণাশিস ঘোষের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের জালে ক্রমশ জড়িয়ে পরেন ডাক্তারবাবু। ক্রমে সম্পর্ক বদলে যায় ব্ল্যাকমেলে। সম্পর্কের দোহাই দিয়ে টাকা আদায় সহ অনেক সুবিধা আদায় করে রিয়া। আরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে ছিল রিয়া। এমনটাই খবর সূত্রের।
রিয়ার স্বামীর দাবি, স্ত্রীর একাধিক সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই নাকি রিয়াকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। রিয়া ও অভিজিতের এই ডিভোর্স নাকি লোক দেখানো। আসলে এটাই তাঁদের ফাঁদ। সম্পর্কের জাল তৈরি করে, টাকা রোজগারই ছিল তাঁদের মূল কারবার। আর এই ফাঁদেই পড়ে গিয়েছিলেন ডাক্তার কল্যাণাশিস ঘোষ। রিয়া-অভিজিতের শাস্তির দাবি করছেন এলাকার মানুষ।