Diamond Harbour Crime: দশ মাসের শিশুকে বিক্রির অভিযোগ গ্রেফতার, উঠে আসছে এক আশাকর্মীর নামও

Diamond Harbour Crime: সোমবার সকালে ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইনে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, একটি দশ মাসের শিশু চুরি গিয়েছে। কিছু তথ্য সংগ্রহ করে ওই চাইল্ড লাইন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

Diamond Harbour Crime: দশ মাসের শিশুকে বিক্রির অভিযোগ গ্রেফতার, উঠে আসছে এক আশাকর্মীর নামও
শিশু বিক্রির অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 3:47 PM

ডায়মন্ডহারবার: স্ত্রী কাছেই থাকত সন্তান। মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না। হঠাৎ এসে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চান। বিশ্বাস করে স্বামীর হাতে সন্তানকে তুলেও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মোজাহার শেখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মন্দিরবাজারের মুলদিয়ার বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে শিশু সুরক্ষা আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে মন্দিরবাজার থানার পুলিশ। ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন স্ত্রীর সঙ্গে মোজাহারের বনিবনা হচ্ছিল না। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর কাছে থাকত দশ মাসের বাচ্চাটা। কিছুদিন আগেই মোজাহার তাঁর স্ত্রীর কাছে এসে জানান, তিনি সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চান। কিছুদিন আগে শিশুটিকে স্ত্রীয়ের কাছ থেকে আনতে যান মোজাহার।

স্বামীর হাতে সন্তানকে তুলে দেন স্ত্রী। তাতে আপত্তি জানাননি মোজাহারের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাও। এরপরের ঘটনাই রহস্যজনক।

সোমবার সকালে ডায়মন্ড হারবার চাইল্ড লাইনে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তিনি জানান, একটি দশ মাসের শিশু চুরি গিয়েছে। কিছু তথ্য সংগ্রহ করে ওই চাইল্ড লাইন থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে। উঠে আসে মোজাহারের নাম। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মোজাহার যখন তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে শিশুকে আনতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক আশাকর্মী। ফেরার সময়ে ওই আশাকর্মীর কোলেই শিশুটি ছিল। মোজাহারের পরিবারের বক্তব্য, তাঁদের বাড়ির ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তাঁকে ভুল বুঝিয়ে ওই আশাকর্মী শিশুকে চিকিৎসক দেখানোর নাম করে অন্যত্র নিয়ে যায়। তারপর শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।

দুপুরে মোজাহার শেখ পাল্টা থানার দরস্থ হন। তাঁর বক্তব্যের ভিত্তিতে মন্দিরবাজার থানা তদন্তে নামে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে ফরিদা বিবি নামে ওই আশা কর্মীর সক্রিয় যোগ থাকার বিষয়টি উঠে আসে। রাতে ওই আশাকর্মীকে থানায় ডেকে আনা হয়। কিন্তু পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাল্টা শিশু বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মোজাহারকেই।

এদিকে, আশাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক দম্পতির নাম উঠে আসে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই দম্পতির কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বিষয়টি আরও জটিল হয়। ওই দম্পতি দাবি করতে থাকেন, শিশুটির বাবা মোজাহার শেখ টাকার বিনিময়ে সন্তানকে বিক্রি করেছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে তিনটি ভিন্ন ব্যাখ্যা উঠে আসছে। আপাতত মোজাহারকে হেফাজতে নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর মানসিক অবস্থা ঠিক কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আশাকর্মী অবশ্য ক্যামেরার সামনে কিছুই বলতে চাননি।

সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই আাশা কর্মী শিশুটিকে উদ্ধার করতে সাহায্য করেছেন। শিশুটিকে হোমে পাঠানো হবে।