Diamond Harbour: সম্মানের কথা ভেবে চুপ করে যেতে হয়েছিল? ডায়মন্ড হারবারের চিকিত্‍সকের মৃত্যুতে প্রশ্নের শেষ নেই

Diamond Harbour: সম্মানের কথা ভেবে চুপ করে যেতে হয়েছিল চিকিত্‍সককে। সেই সুযোগে তার অ্যাকাউন্ট কার্যত ফাঁকা করে দেয় রিয়া দাস ও তার দল। অভিযোগ মানিসিক আঘাত দিতে পিছিয়ে ছিলেন না ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালও।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 10, 2024 | 11:59 AM

ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবারের চিকিত্‍সক কল্যাণাশিস ঘোষের আত্মহত্যায় প্রশ্নের শেষ নেই। একজন চিকিত্‍সককে সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তাঁর জীবনটাই কার্যত শেষ করে দিয়েছিল রিয়া ও তাঁর দল। অভিযোগ অন্তত সেই কথাই বলছে। এই রিয়া আবার বার মালিক অভিজিৎ দাসের প্রাক্তন স্ত্রী। তবে শুধু ডায়মন্ড হারবারের একটা ঘটনা নয়, সাম্প্রতিক সময়ে এমন আরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পর্ককে। অভিযোগ এমনটাই।   

চিকিত্‍সক কল্যাণাশিস ঘোষের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে সম্পর্কের জালে জড়িয়ে তার সম্মান নষ্ট করাই ছিল রিয়া ও তার প্রতারক দলের প্রাথমিক লক্ষ্য। সোজা কথায়, সম্মান, এটাই প্রতারকদের সব থেকে বড় হাতিয়ার। সামাজিক সম্মানের প্রশ্ন তুলে ব্ল্যাকমেল। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের কাছে চিকিত্‍সক হিসেবে বেশ সুনাম ছিল কল্যাণাশিস ঘোষের। কোভিডকালে শুধু চিকিত্‍সা নয়, মানুষকে আরও একাধিকভাবে সাহায্য করেছিলেন তিনি। কোভিড হিরোর সম্মানও পেয়েছিলেন। এমন মানুষের কাছে সম্মান একটা বড় ফ্যাক্টর। আর সেখানে আঘাত করেই তার ওপর মানসিক নির্যাতন পর্ব শুরু করেছিল রিয়া। প্রতারণার প্রথম এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। 

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, “ভিকটিমরা কিন্তু মারাত্মকভাবে মানসিক অবসাদে ভোগেন। যখন তাঁদের ব্ল্যাকমেল করা হয়। সমাজে ভাবমূর্তি নষ্টের কথা উঠলেই তাঁরা চাপে পড়ে যান।” 

এই সম্মানের কথা ভেবে চুপ করে যেতে হয়েছিল চিকিত্‍সককে। সেই সুযোগে তার অ্যাকাউন্ট কার্যত ফাঁকা করে দেয় রিয়া দাস ও তার দল। অভিযোগ মানিসিক আঘাত দিতে পিছিয়ে ছিলেন না ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালও। কোয়ার্টার ছাড়া নিয়ে সবার সামনে চিকিত্‍সককে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পরতে হয় প্রিন্সিপালকেও। একজন চিকিত্‍সক, মানুষের মনে যার বিরাট জায়গা। কিন্তু মানসিক ভাবে এতটাই ভেঙে পড়লেন যে জীবন যুদ্ধে দাড়ি টেনে দিলেন নিজে থেকেই। শুধু বলে গেলেন, আমাকে ওরা বাঁচতে দিল না। আমার আর ফেরার উপায় নেই।