Sundarban: নৌকায় ঝাঁপিয়েই সোজা টেনে নিল জঙ্গলে, মাছ ধরতে গিয়ে আবারও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মৎস্যজীবীদের
Royal Bengal Tiger: সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হলেন এক মৎস্যজীবী।
সুন্দরবন: খিদের জ্বালা বড় জ্বালা! সেই জ্বালা মেটাতেই রোজগার। জীবিকার তাগিদে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যেতে জঙ্গলে ওদের। মাছ-কাঁকড়া যা পান তাই দিয়ে চলে সংসার। তবে এত কিছুর মধ্যে জঙ্গলে ভয় বাঘের। সুন্দরবনে প্রায় প্রতিদিনই বাঘের পেটে গিয়েছেন জীবিকা রোজগার করতে যাওয়া মৎস্যজীবীরা। কেউ কেউ ফিরে এসেছেন তবে তা নগন্য। সোমবারও সেই রকমই খবর সামনে এসেছে।
সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হলেন এক মৎস্যজীবী। নিহত মৎস্যজীবীর নাম কালিপদর সর্দার। বয়স ৬০ বছর। নিহত মৎস্যজীবীর বাড়ি গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত সুন্দরবন উপকূল থানার ছোট মোল্লাখালি গ্রামের কালিদাসপুর এলাকায়।
স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে খবর, আপাতত সুন্দরবনের নদী খাঁড়িতে মাছ কাঁকড়া ধরা বন্ধ আছে প্রশাসনের নির্দেশ মত। আর সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে বহু মানুষ ঢুকে পড়ছে জঙ্গলে। জীবিকার তাগিদে জঙ্গলে ঢুকে পড়ার কারণেই রবিবার ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গলে বাঘের আক্রমণে নিহত হয় ওই মৎস্যজীবী। কাঁকড়া ধরার জন্য যখন তাঁরা জঙ্গলে নামার তোড়জোড় করছিলেন। তখনই পিছন থেকে বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে মৎস্যজীবী দলের উপরে। তারপর টানতে টানতে কালিপদকে নিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। এরপর অন্য সঙ্গীরা গিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে দেহটি। তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
মৎস্যজীবী দলটির কোনও বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না মাছ ধরার জন্য। এমনটাই জানানো হয়েছে বনদফতর এর তরফ থেকে। তাছাড়া সুন্দরবন এইমুহূর্তে মাছ ধরা বন্ধ আছে। ফলে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে প্রবেশ করতেই এই বিপত্তি।
হামেশাই দক্ষিবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। নদীর খাঁড়িতে কখনও মাছ অথবা কাঁকড়া ধরতে গিয়ে প্রাণ যায় তাঁদের। কয়েকদিন আগেও সুন্দরবনে বাঘের কামড়ে মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর। মৃতের নাম সন্ন্যাসী মণ্ডল (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোরে সুন্দরবন ঝিলা জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাঁড়িতে। গোসাবা ব্লকের কুমীরমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বুধবারের বাজার সংলগ্ন ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা সন্ন্যাসী। পেশায় তিনি একজন মৎস্যজীবি। প্রতিনিয়ত সুন্দরবন জঙ্গল লাগোয়া নদী খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়া ধরা ও মধু সংগ্রহ করেই জীবনজীবিকা নির্বাহ করতেন।