AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উত্তাল সাগরে হঠাৎই জল ঢুকতে শুরু করল ট্রলারে, প্রাণে বাঁচতে ত্রাহি রবে চিৎকার মৎস্যজীবীদের

গত কয়েকদিন ধরে টানা দুর্যোগের আবহাওয়া। বৃষ্টিতে নাকাল জেলাগুলি। বিশেষ করে উপকূলবাসীর চরম দুর্ভোগ।

উত্তাল সাগরে হঠাৎই জল ঢুকতে শুরু করল ট্রলারে, প্রাণে বাঁচতে ত্রাহি রবে চিৎকার মৎস্যজীবীদের
নিজস্ব চিত্র।
| Updated on: Jun 19, 2021 | 1:01 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুর্যোগের সাগরে ট্রলারডুবি। বকখালির কাছে ডুবে গেল মৎস্যজীবী বোঝাই ট্রলার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবু পেটের দায়ে সে সব উপেক্ষা করেই মাছ ধরতে গিয়েছিলেন একদল মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের কলস দ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে উল্টে যায় ট্রলারটি। ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে উদ্ধার করা গেলেও কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গত কয়েকদিন ধরে টানা দুর্যোগের আবহাওয়া। বৃষ্টিতে নাকাল জেলাগুলি। বিশেষ করে উপকূলবাসীর চরম দুর্ভোগ। সাগর উত্তাল থাকায় সরকারিভাবে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য দফতর। কিন্তু সে নিষেধ না মেনেই বৃহস্পতিবার রাতে এফবি তারা মা নামে একটি ট্রলার পাথরপ্রতিমা থেকে পাড়ি দেয়।

বকখালি থেকে আরও ঘণ্টা দুই যাওয়ার পরই ট্রলারের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে শুরু করে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা বাঁচার জন্য প্রাণপণ চিৎকার করতে থাকেন। পরে অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। তবে ট্রলারে কতজন মৎস্যজীবী ছিলেন তার হিসাব পাওয়া গেলেই নিখোঁজের সংখ্যা স্পষ্ট হবে।

আরও করুণ পরিস্থিতি মৎস্যজীবীদের পরিবারের। এই ঝড় জলের কারণে বহু ট্রলার বিভিন্ন দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছে। করোনাজনিত সরকারি বিধি নিষেধে কিছুটা ছাড় পাওয়ার পরই গত ১৪ জুন সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সাগরের বুকে যাত্রা করে। নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা থেকে প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার গভীর সাগরে পাড়ি দেয় ইলিশ ধরার জন্য। কারণ এটাই ‘রূপালি শস্য’-এর মরসুম।

আরও পড়ুন: শুভশ্রীর দিদির সঙ্গে ‘প্রতারণা’, বিয়ের দু’ মাসের মাথায় গ্রেফতার রাজ চক্রবর্তীর শ্যালিকার স্বামী

কিন্তু সেই ট্রলার রওনা হওয়ার পর পরই দুর্যোগ শুরু হয়। বাড়তে থাকে বৃষ্টি। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হয় ১৯ তারিখ পর্যন্ত যেন সাগরে কেউ ট্রলার নিয়ে না যান। কিন্তু সে বার্তা এলেও তড়িঘড়ি সকলে সুরক্ষিত স্থানে ফিরতে পারেনি। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলস দ্বীপের কাছে একটি ট্রলার ডুবে যায়।