পুরসভার শংসাপত্র বেহাত হল কী ভাবে? স্বাস্থকেন্দ্র থেকেই কি সরানো হল টিকা? উত্তর খুঁজছে স্বাস্থ্য ভবন
পানিহাটি কাণ্ডে টিকা কোথা থেকে এল, জোরালো হচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন।
উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি টিকা চক্রে সামনে আসছে একের এক প্রশ্ন। পুরসভার শংসাপত্র কী ভাবে বেহাত হয়ে গেল সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, পুরসভার শংসাপত্র কী ভাবে বেহাত হয়ে গেল সেটাই আসল প্রশ্ন। তাঁদের আশঙ্কা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে।
পানিহাটি কাণ্ডে টিকা কোথা থেকে এল সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে স্বাস্থ্য ভবন। পাশাপাশি উঠছে সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্ন। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা বলছেন, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম সামনে এসেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি আর্বান প্রাইমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। তাই সেখান থেকে টিকা সরানো হচ্ছিল কি না, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। তবে আধিকারিকদের প্রশ্ন, পুরসভার শংসাপত্র বেরনোর পিছনে কারা? অভিযোগকারীদের নাম পানিহাটি পুরসভার টিকাকেন্দ্র থেকে কী ভাবে কো-উইন পোর্টালে নথিভুক্ত হল।
পুলিশের কাছে চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্র অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভাবে এই টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত নন। এই প্রশ্নে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, পানিহাটি পুরসভার সেশন আইডি ব্যবহার করে টিকাকরণ হয়েছে তা তো অস্বীকার করা যাচ্ছে না। দেবাঞ্জন কাণ্ডে পরোক্ষ ভাবে নাম জড়িয়েছিল কলকাতা পুরসভার। কিন্তু এক্ষেত্রে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পানিহাটি পুরসভা।
পানিহাটি টিকা চক্রে আরও একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে, যেমন ৩০০ টাকায় কোভিশিল্ডের ব্যবস্থা কীভাবে? দাম অবিশ্বাস্যও কম, তবে কি এই টিকাও জাল? কোথা থেকে এল টিকা? তবে এই প্রশ্নের উত্তর হাতরাচ্ছে পুরসভাও।
পানিহাটিতে টিকা কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে আটক চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্রকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েয় পুলিশ। যদিও পানিহাটি ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন পুরসভার আংশিক সময়ের মেডিক্যাল অফিসার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়ও জানিয়েছেন, বিপ্লব রুদ্র নামে যে চিকিত্সককে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি ওই অভিযুক্ত চিকিত্সক। প্রশ্ন উঠছে, কেন অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হল? টিকাচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই অস্বস্তি বেড়েছে পানিহাটি পুরসভার। একজন চিকিত্সক তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে টিকা দিলেন, তাহলে তাঁদের কাছে কীভাবে পুরসভার নথি পৌঁছে গেল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অভিযুক্ত অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি পুরসভার প্যাড ও স্ট্যাম্প এনেছেন। কিন্তু টিকা নয়। এই দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। আরও পড়ুন: বোমাবাজিতে আহত রানিনগরে তৃণমূল নেতার গাড়িচালকের মৃত্যু এসএসকেএম-এ, তুঙ্গে তরজা