বোমাবাজিতে আহত রানিনগরে তৃণমূল নেতার গাড়িচালকের মৃত্যু এসএসকেএম-এ, তুঙ্গে তরজা
Murshidabad: স্বাধীনতা দিবসে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। রানিনগরের ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সভাপতি শাহ আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়।
মুর্শিদাবাদ: রানিনগরে তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনায় এসএসকেএমে মৃত্যু হল গাড়িচালকের। গুরুতর জখম তৃণমূল নেতার সঙ্গী নিরাপত্তারক্ষী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। মৃতের নাম শত্তার শেখ।
স্বাধীনতা দিবসে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। রানিনগরের ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সভাপতি শাহ আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন চালক শত্তার শেখ ও দেহরক্ষী সোহেল রানা।
আক্রান্ত তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের বয়ান অনুযায়ী, ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৃণমূল সভাপতি। আহত দুজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চালককে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। রানিনগরের তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেনের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও, বিরোধীরা এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে।
বিধায়ক সৌমিক হোসেনের কথায়, “বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম একসঙ্গে এই হামলা ঘটিয়েছে। যেহেতু বিধানসভায় পরাজয় ঘটেছে তাই ইচ্ছে করে বোমাবাজি করেছে। রানিনগরের কোতলপুরে এক দুষ্কৃতী এই ঘটনায় যুক্ত। শাহ আলম তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা চলছে। রানিনগরে তৃণমূলের জয়ের নেপথ্যে শাহ আলমই ছিলেন। তাই তাঁর উপর এই হামলা।” বিরোধী শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই হামলা। আরও পড়ুন: ‘জাগো বাংলা’য় লেখার মাসুল, ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড হতে পারেন অনিল-কন্যা