ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ, বাড়ি থেকে গ্রেফতার ভাঙড়ের আইএসএফ ব্লক সভাপতি

প্রতিহিংসার কারণে এই গ্রেফতারি বলে দাবি আইএসএফের (ISF)।

ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ, বাড়ি থেকে গ্রেফতার ভাঙড়ের আইএসএফ ব্লক সভাপতি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 01, 2021 | 11:32 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের (Bhangar) দুই প্রথম সারির আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভাঙড় থানা ঘেরাও থেকে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর, ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ভাঙড়-১ ব্লকের আইএসএফ সভাপতি শরিফুল মোল্লা ও সম্পাদক মিন্টু শিকারী। শরিফুল বিধানসভা ভোটে ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙড় বিধানসভার দায়িত্ব ছিলেন। নওশাদ সিদ্দিকির জয়ের কারিগর হিসাবে তাঁদের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

সোমবার রাতে বড়ালির বাড়ি থেকে শরিফুলকে গ্রেফতার করে ভাঙড় থানার পুলিশ। রবিবারই ভাঙড়ের রানিগাছি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় মিন্টু শিকারীকে। ভাঙড় পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের সময় থেকে এলাকায় দৌরাত্ম্যের অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এলাকায় অশান্তি, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের নামে। একইসঙ্গে মারধর, হুমকি, রাস্তা অবরোধ, লুটপাঠ-সহ একাধিক অভিযোগ আছে ভাঙড় থানায়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই পুলিশ তাঁদের খুঁজছিল।

যদিও গ্রেফতার হয়ে শরিফুল বলেন, “সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে আমাকে আর মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোটে হারার প্রতিশোধ নিতে তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: কোভিড নিয়ে ভর্তি হয়ে দেখা গেল মিউকরমাইকোসিসও শরীরে, ক্রমেই বাড়ছে বাংলায় ছত্রাক সংক্রমণ

আইএসএফ কর্মীদের দাবি, ভোটের পর থেকেই এলাকায় তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আইএসএফ করার জন্যই তাঁদের উপর নানা ভাবে দোষ চাপানো হচ্ছে। তাঁদের দুই নেতার গ্রেফতারিও সে কারণেই বলে অভিযোগ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। প্রতিহিংসার কারণে এই গ্রেফতারি বলে দাবি আইএসএফের। ধৃতদের শরিফুলকে মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করবে পুলিশ।