Sundorbon Dam cracks: সুন্দরবনে বাঁধে ধরল ফাটল, প্লাবনের আশঙ্কায় একাধিক গ্রাম

Sundorbon Dam Cracks: রবিবার দুপুর থেকে চলতে থাকা অতি ভারী বৃষ্টি ফুঁসতে শুরু করে সুন্দরবনের একাধিক নদী। কালিন্দী, গৌড়েশ্বর ও রায়মঙ্গল সহ একাধিক নদী সোমবার সকাল থেকেই ফুঁসছে।

Sundorbon Dam cracks: সুন্দরবনে বাঁধে ধরল ফাটল, প্লাবনের আশঙ্কায় একাধিক গ্রাম
সুন্দরবনে বাঁধে ফাটল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 12:14 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক টানা বৃষ্টি। নদীতে জলস্তর বাড়ছে। ফলে আশঙ্কাই সত্যি হল। সুন্দরবনে নদীতে বাঁধে ধরল ফাটল। প্লাবনের আশঙ্কার একের পর এক গ্রাম।

রবিবার দুপুর থেকে চলতে থাকা অতি ভারী বৃষ্টি ফুঁসতে শুরু করে সুন্দরবনের একাধিক নদী। কালিন্দী, গৌড়েশ্বর ও রায়মঙ্গল সহ একাধিক নদী সোমবার সকাল থেকেই ফুঁসছে। সেই সময় হঠাৎই বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাউলি পাড়ায় গৌড়েশ্বর নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ উপচে জল ডুকতে শুরু করে গ্রামে।

যার জেরে প্লাবিত হয়েছে গোটা গ্রাম। আতঙ্কিত সুন্দরবনের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ক্ষতির মুখে একাধিক শীতকালীন সবজি ও জলকরের মাছ।

এনডিআরএফ এর একটি দল ইতিমধ্যেও ওই গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বানভাসি এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। যদি এরকম এক নাগাড়ে বৃষ্টি চলতে থাকে, তাহলে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় আরও বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যা এক প্রকার ভয়াবহ চেহারা নেবে।

এনডিআরএফ-এর এক আধিকারিক বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ঢোকা হবে। বাসভাসি এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হবে। কোথাও কোনও বাড়ি ভেঙে পড়েছে কিনা তা দেখতে হবে।”

সমবায় সমিতি ও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। কৃষকদের দাবি, প্রতি বিঘা পিছু আলু চাষে খরচ হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু অসময়ে ‘জাওয়াদ’ আর তার জেরে নাগাড়ে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রথমে এতটা যে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে দিনভর চলছে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির ফলে জেলায় কৃষি প্রধান এলাকায় সবথেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকেরা। শীতের শুরুতে কৃষিপ্রধান এলাকার মানুষ চাষ করেছিলেন জলদি আলু, শুধু নয় আলু থেকে শুরু করে কপি, মুলো, পেঁয়াজ, বেগুন, আর প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে কৃষি জমি পরিণত হয়েছে পুকুরে। জল থই থই করছে কৃষিজমিতে।

এখন সরকারি সাহায্যের আশায় চাষিরা। এক চাষির কথায়, “আমি দু-এক খানা চাষ করেছিলাম। আমাদের ২৬ হাজার বিঘায় খরচ হয়েছিল। গাছ হয়ে গিয়েছিল। জলে সব শেষ। জলের জন্য মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। এখন আর আমাদের বাঁচার কোনও উপায় নেই। ”

আরও পড়ুন: Weather Update: নিম্নচাপে পরিণত জাওয়াদ! কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস?

আরও পড়ুন: Paschim Medinipur Farmers: বিঘার পর বিঘা জমিতে জল, ‘জাওয়াদ’ নিঃস্ব করল কয়েক হাজার আলু চাষিকে