Paschim Medinipur Farmers: বিঘার পর বিঘা জমিতে জল, ‘জাওয়াদ’ নিঃস্ব করল কয়েক হাজার আলু চাষিকে
Paschim Medinipur Farmers: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রথমে এতটা যে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: সমবায় সমিতি ও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে চরম ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। কৃষকদের দাবি, প্রতি বিঘা পিছু আলু চাষে খরচ হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু অসময়ে ‘জাওয়াদ’ আর তার জেরে নাগাড়ে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রথমে এতটা যে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, তা ভাবতে পারেননি তাঁরা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে দিনভর চলছে বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির ফলে জেলায় কৃষি প্রধান এলাকায় সবথেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকেরা। শীতের শুরুতে কৃষিপ্রধান এলাকার মানুষ চাষ করেছিলেন জলদি আলু, শুধু নয় আলু থেকে শুরু করে কপি, মুলো, পেঁয়াজ, বেগুন, আর প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে কৃষি জমি পরিণত হয়েছে পুকুরে। জল থই থই করছে কৃষিজমিতে।
আলু থেকে সবজি সমস্ত কিছুই এখন জলের তলায়। আর প্রবল বর্ষণে জলে ডুবে থাকার কারণে সমস্ত কিছুই একেবারে যে নষ্ট হয়ে যাবে সেটা নিশ্চিত কৃষকরা। তাই রাতের ঘুম উড়েছে ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোণা ১ ও ২ ব্লকের ঘাটাল, দাসপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের। কৃষকদের দাবি কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি ঘাটালে বন্যার ভ্রূকুটি কাটিয়ে চাষিরা ভেবেছিলেন হয়তো তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আলু চাষের ওপরই ভরসা ছিল তাঁদের। তার কারণ, ধান চাষেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। আবার শীতের শুরুতে জাওয়াদ এসে সব শেষ করে দিয়ে চলে গেল, বলছেন চাষিরাই।
এখন সরকারি সাহায্যের আশায় চাষিরা। এক চাষির কথায়, “আমি দু-এক খানা চাষ করেছিলাম। আমাদের ২৬ হাজার বিঘায় খরচ হয়েছিল। গাছ হয়ে গিয়েছিল। জলে সব শেষ। জলের জন্য মাটি নরম হয়ে গিয়েছে। এখন আর আমাদের বাঁচার কোনও উপায় নেই। ”
আরেক চাষি বলছেন, “আমাদের তো এই করেই সংসার চলে। অন্য কিছু তো নেই। আলু তো এত জল সহ্য করবে না। যদি সরকার সাহায্য করে, তাহলে কিছু উপায় আছে। আর তো নাহলে কোনও উপায় নেই। যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে একটা আলুও থাকবে বলে তো মনে হচ্ছে না।”
অন্য আরেক চাষি বলেন, “কপি লাগিয়েছিলাম। ২২-২৩ হাজার টাকা বিঘায় খরচ করেছিলাম। আলু তো আর হবেই না। বৃষ্টি তো আজ সারাদিনই হবে। পরিস্থিতি খুব খারাপ আমাদের। সরকার না দেখলে কীভাবে ঋণ শোধ করব আমরা তো জানি না। মাঠ দেখতে এসেছিলাম। কী যে হবে জানি না। জল কীভাবে মাঠ থেকে বার করা যায়, তাই বৃষ্টিতে ভিজেই মাঠে রয়েছি।” মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন। কৃষকদের জন্য কিছু তো একটা করতেই হবে।”
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Snatching: সবে বাইকে উঠছিলেন, আচমকাই পিছন থেকে হামলা! ব্যবসায়ীর সোনার চেন, টাকা ‘ছিনতাই’
আরও পড়ুন: Weather Update: আজও দিনভর চলবে বৃষ্টি! কতদিন নাগাড়ে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে-কলকাতায়? জানাল আবহাওয়া দফতর