মায়ের পাশেই শোওয়ানো মেয়ের লাশ, রক্তে ভাসছে দু’জনই! মামার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভয়ঙ্কর ঘটনা
Kultali: প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ভ্যানে ওই মহিলার সঙ্গে একটি ছোট মেয়ে বসেছিল। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়ে তাদের গাড়িটি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন মহিলা। দু’ একদিন থেকে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরা আর হল না। পথেই প্রাণ গেল দু’জনের। ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল মা-মেয়ের। কুলতলিতে সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।
কুলতলির বাসিন্দা প্রতিমা মণ্ডল। ছোট্ট মেয়ে পাপিয়া মণ্ডলকে নিয়ে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। শনিবার বাড়ি ফিরছিলেন একটি মোটর ভ্যানে চেপে। কুলতলি থানা এলাকার কাঠখালি এলাকায় তাঁদের গাড়িটিকে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা ইট বোঝাই অপর একটি মোটর ভ্যান। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন প্রতিমা মণ্ডল। মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। রক্তে ভেসে যায় সারা শরীর।
এদিকে মায়ের আঁচল ধরেই ভ্যানে বসেছিল ছোট্ট মেয়ে পাপিয়া। উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির সজোর ধাক্কায় ভ্যান থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে সে। রক্তক্ষরণ শুরু হয়। দু’জনকেই উদ্ধার করে পথচারীরা। নিয়ে যাওয়া হয় জামতলায় কুলতলি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে মা মেয়ের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ভ্যানে ওই মহিলার সঙ্গে একটি ছোট মেয়ে বসেছিল। মনেই হচ্ছিল মা, মেয়ে। কাঠখালির কাছে উল্টো দিক থেকে দুরন্ত গতিতে অপর একটি মোটর ভ্যান আসছিল। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি দু’টি ধাক্কা মারে। বিকট শব্দ হয় এলাকায়। ভ্যানে থাকা মহিলার মুখ থুবড়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা শিশু কন্যাটি ছিটকে গিয়ে মাঝ রাস্তায় পড়ে যায়। এই দৃশ্য দেখে হই হই শুরু হয়ে যায় এলাকায়। শুরু হয় তুমুল হইচই। সকলে ধরাধরি করে ওই শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করেন। তবে ততক্ষণে দু’জনই রক্তে ভাসছেন। কোনও মতে ওই ভ্যানে তুলেই জামতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। জামতলার কুলতলি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে দু’জনেরই। ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশ।
এর আগে গত ২ অগস্ট বকুলতলায় ভয়ঙ্কর এক পথদুর্ঘটনা ঘটে। ৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একটি বোলেরো গাড়িতে তামিলনাড়ু যাচ্ছিলেন তাঁরা। বকুলতা থানা এলাকায় তাঁদের গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছ’জনের। দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি কাকদ্বীপেও পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের। একজন বিট অফিসার ও এক বনকর্মী বাইকে করে ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখতে যাচ্ছিলেন। গুরুতর দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁদের বাইকটি। দু’জনই প্রাণ হারান। স্থানীয়দের অভিযোগ, একদিকে ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে যেমন বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে গাড়ির অতিরিক্ত গতিবেগও এই দুর্ঘটনার কারণ বলে দাবি তাঁদের। আরও পড়ুন: বন্ধ কাবুল এয়ারস্পেস, বাতিল হল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানও, কীভাবে দেশে ফিরবেন আটকে পড়া ভারতীয়রা?