Landslide: ধসে ভেঙে চুরমার কংক্রিটের ব্রিজ! ফের নিঃস্ব হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে সুন্দরবন
Sundarban: ওই জায়গাতে থাকা একটি সরকারি জেটির প্রায় বেশিরভাগ অংশই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে ।
সুন্দরবন: গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে একের পর এক ধসের খবর উঠে এসেছে। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি-ঘর। নদী ভাঙনে জলের সঙ্গে চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। এবার সুন্দরবনের (Sundarban) নতুন আতঙ্ক ধস (Landslide)। পাখিরালয়ে ভাঙল পর্যটকদের জন্য বানানো কংক্রিটের জেটি।
দেশ বিদেশের পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে সব থেকে বেশি যে জায়গায় আসে। এবার সেখানেই আচমকাই নদী বাঁধ সংলগ্ন নদীর চরে ধস নামে। যার কারণে ভেঙে পড়ে কংক্রিটের জেটির বেশিরভাগ অংশ। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ভাঙনের উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ধস নামার এই ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবা ব্লকের রাঙাবেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালয় পর্যটন কেন্দ্রে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রথমে নজরে আসে যে নদী বাঁধ সংলগ্ন গাড়াল নদীর যে চর রয়েছে সেই চরের বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। যে কারণে ওই জায়গাতে থাকা একটি সরকারি জেটির প্রায় বেশিরভাগ অংশই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে । শুধু তাই নয় আশেপাশের এলাকা জুড়েও ধস নামায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোনও মুহূর্তে আরও বড় এলাকাজুড়ে ধস নামতে পারে। ধসের জেরে পাশের নদী বাঁধ এবং যে রাস্তা রয়েছে তা যদি ভেঙে যায় তাহলে নদীর জলে প্লাবিত হয়ে যেতে পারে গোটা এলাকা। আর এই চিন্তাই রীতিমতো ঘুম কেড়েছে এলাকাবাসীর।
ঘটনাটি জানার পর থেকেই বিষয়টি প্রশাসনিক দফতরের গুলির নজরে আনা হয়। যদিও সঙ্গে-সঙ্গে মোকাবিলা করতে তৎপর সেচ দফতরও। ইতিমধ্যেই তারাও ওই এলাকায় ইঁটবোঝাই বস্তা ফেলে ধস আটকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রসাদ মণ্ডল ও নিখিল দাস বলেন, “এর আগে আয়লা,আমফান,বুলবুলের সময়েও একাধিক নদী বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তেমনি কংক্রিটের একাধিক জেটি ভেঙে গিয়েছে। কোনওটা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙন এখানে দিনে দিনে যে ভাবে বেড়ে চলছে তাতে আগামী দিনের পক্ষে বিপদজনক তা বলাই বাহুল্য।বিশেষ করে এই এলাকায় কংক্রিটের নদীবাঁধ যতদিন না তৈরি হচ্ছে ততদিন এই পরিস্থিতি দুশ্চিন্তা রাখছে।
উল্লেখ্য, গত পরশুও জেলার ডায়মন্ডহারবার থেকে ধসে বাড়ি-ঘর ভেঙে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসে। এলাকার হুগলি নদীর সঙ্গে যুক্ত ক্রিকখালের পাশে বড়সড় ধস নামে।
গতকাল গভীর রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম ধস দেখতে পান। এই ধসের জেরে ফাটল দেখা দেয় অনেক বাড়িতে। খবর পেয়েই রাতেই সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রশাসনের তরফে এলাকার মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে কিছু মানুষকে স্থানীয় ডায়মন্ডহারবার হাইস্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়ির জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।একজন বাসিন্দা বলেন,” আমার বাড়ির দেওয়াল ভাঙতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই এক কোমর পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে। ভিত থেকে দেওয়াল খুলে গিয়েছে। খালের পাড় একদম বাঁধানো নেই। সরকারের তরফে রোজ বলা হচ্ছে পাড় বাঁধিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কিছুই করা হল না। ছোটো ছেলেমেয়েদের নিয়ে কি রাস্তায় থাকব? খালের পাড় এতটাই ভেঙেছে যে এখন হাইস্কুলে গিয়ে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ”
আরও পড়ুন: Aryan Khan Drug Case: ফাঁসানো হতে পারে মিথ্যা মামলায়! আগেভাগে পুলিশকে চিঠি এনসিবি কর্তার