Madhyamik Student: অ্যাডমিট না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশে সাংসদ অভিষেক
Diamond Harbour Madhyamik Student: ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের বাসুলডাঙা। সেখানেই বাড়ি মর্জিনা খাতুনের। ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া সে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Madhyamik Exam 2022) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। সেই পরীক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ফর্ম ফিলআপ করার পরও ওই ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড আসেনি বলে পরিবারের অভিযোগ। এক বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে ওই ছাত্রী। রবিবার সকালেই ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙার এই ঘটনার কথা সামনে আসে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বাসুলডাঙায় ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। ভেঙে পড়া ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের মুখ থেকে ঘটনার কথা শুনে বিষয়টি এসডিপিও তড়িঘড়ি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোনে জানান বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা শুরু করেন অভিষেক।
সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। এরপরই ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়। এত টানাপোড়েনের পর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী মর্জিনা খাতুন। জীবনের বড় পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছে মর্জিনা। এসডিপিও মিতুন দে ওই পরীক্ষার্থীর হাতে পেন, খাতা তুলে দেন।
ডায়মন্ড হারবার-১ ব্লকের বাসুলডাঙা। সেখানেই বাড়ি মর্জিনা খাতুনের। ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া সে। অনলাইনে পড়াশোনার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলআপও করে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই। কিন্তু এরপরও তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। ওই ছাত্রীর পরিবারের কথায়, একদিনও বাকি নেই পরীক্ষার। এদিকে বাকি বন্ধুদের অ্যাডমিট কার্ড এসে গেলেও তার না আসায় ভয় পেয়ে গিয়েছিল।
একটা বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠেছিল মেয়ে। বাড়ির লোকজন বারবার বোঝালেও কাজ হয়নি। শনিবার বিকেলে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মর্জিনা। বাড়ির লোক তখনও বোঝায়। এরপর পড়তে যাচ্ছে বলে নিজের ঘরে ঢোকে। বাড়ির লোকজনের কথায়, সন্ধ্যার সময় মেয়েকে টিফিন দেওয়ার জন্য অনেকবার ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। এরপরই দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝোলার চেষ্টা করছে সে। দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে বাড়ির লোকজন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
আরও পড়ুন: Crime News: ফিটফাট শাড়ি, রাস্তার ধারে বসেছিল মহিলা! তার মনে যে এমন ছিল, কে জানত…
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: বইয়ের পাতায়ও কি যুদ্ধ লাগে? বইমেলায় রাশিয়ার ফাঁকা স্টল উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন