Nursing Student attempts to suicide: মামাকে দেখেই একছুটে হোস্টেলের ঘরে! দরজা ভাঙতেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার নার্সিং ছাত্রী
Budge Budge news: মেয়েটি পরীক্ষা দিয়ে যখন নিজের হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিল,তখনই সে তার মামাকে দেখতে পায়। দেখেই মেয়েটি হোস্টেলের দিকে দৌড় লাগায়। নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী।
কলকাতা : আত্মহত্যার চেষ্টা (Attempt to Suicide) নার্সিং ট্রেনিং ছাত্রীর। হোস্টেলের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তরুণীকে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় মামাকে দেখে দৌঁড়ে হোস্টেলে ঢুকে পড়ে ওই ছাত্রী। হোস্টেলে ঢুকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে বজবজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির হোস্টেলে। বছর কুড়ির ওই তরুণীর নাম পৌষালী অধিকারী। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় মামাকে দেখেই কেন সে দৌঁড়ে হোস্টেলের ভিতরে ঢুকে পড়ল? তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ছাত্রীর পরিবার। জানা গিয়েছে, মেয়েটি পরীক্ষা দিয়ে যখন নিজের হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিল,তখনই সে তার মামাকে দেখতে পায়। দেখেই মেয়েটি হোস্টেলের দিকে দৌড় লাগায়। নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী।
যেহেতু সেটি লেডিস হোস্টেল ছিল, তাই মেয়েটির মামা ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না। তিনি তখন দেরি না করে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বিষয়টি নিয়ে। এরপর হোস্টেল কর্তৃপক্ষ সেখানকার কয়েকজন ছাত্রীকে নিয়ে পৌষালীর ঘরের সামনে গেলে দেখা যায় তার ঘর ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ করা রয়েছে। বহু ডাকাডাকি করার পরেও যখন পৌষালী কোন শব্দ বা আওয়াজ করছিল না, তখন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মত দরজা ভাঙা হয়। দরজা ভেঙে ঢুকলে দেখা যায়, পৌষালী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ডান হাত থেকে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, শিরা কাটার চেষ্টা করেছিল ওই ছাত্রী। সেই অবস্থাতেই বিছানার উপর পড়ে ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির হাতে পাঁচটি সেলাই পড়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বজ বজ থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ওই নার্সিং পড়ুয়ার পরিবার এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।
আরও পড়ুন : AMTA Student Death: কে আনিস খান? এই মুসলিম ছাত্রের মৃত্যুকে কেন ‘রাজনৈতিক খুন’ বলা হচ্ছে?