Fishermen: মাটির বাড়ির ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ, প্রতিকূল পরিস্থিতির আগে সজাগ পুলিশ

Sunderbans: রবিবার সকাল থেকেই আরও তৎপর পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন। সকাল থেকে চলছে মাইকিং। দুর্যোগের আগে সবরকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।

Fishermen: মাটির বাড়ির ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ, প্রতিকূল পরিস্থিতির আগে সজাগ পুলিশ
মাইকিং চালাচ্ছে পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 11:43 AM

ঝড়খালি : সমুদ্রে পরিস্থিতি শনিবার থেকেই বেশ উত্তাল। যে মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কোনওরকম অঘটন এড়াতে ৮ অগস্ট (সোমবার) থেকে ১১ অগস্ট (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও ট্রলার নিয়ে বন্দরে বা কোনও নিরাপদ জায়গায় ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই আরও তৎপর পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন। সকাল থেকে চলছে মাইকিং। দুর্যোগের আগে সবরকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাইকে প্রচার চালাতে শুরু করেছে পুলিশ।

বঙ্গোপসাগরের উপর রবিবার একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হওযয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর এই নিম্নচাপ সোমবার আরও প্রবল হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে আগামিকাল (সোমবার) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে আশঙ্কার মধ্যে রাত কাটছে সুন্দরবনবাসীর। কোনও দুর্যোগ কিংবা কোনও ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হলেই সবথেকে বেশি চিন্তা থাকে উপকূলীয় সুন্দরবন এলাকা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ঝড়খালি কোস্টাল থানার তরফে সংলগ্ন এলাকায় সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবী এবং অন্যান্য যাঁরা পর্যটক রয়েছেন, তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। যাঁরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁরা যাতে দ্রুত ফিরে আসেন, সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে মাইকিং-এর মাধ্যমে।

অতীতে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের সময় লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয়েছিল সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায়। তেমন কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি এবারও তৈরি হলে, যত সম্ভব কম ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ প্রশাসন। যাঁদের কাঁচা বাড়ি বা মাটির বাড়ি রয়েছে, তাঁরা যাতে এই সময়ে নিকটবর্তী কোনও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য তৈরি আশ্রয়স্থলে চলে যান, সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।