Sundarban: কালো মেঘের ভ্রুকুটি, জারি নিম্নচাপের সতর্কবার্তা, সুন্দরবনে লাগাতার মাইকিং
Sundarban: ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি দেখছে সুন্দরবন। ফি বছর প্রাকৃতিক ঝড়-ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হয় বাদাবনের এই জায়াগাকে।
সুন্দরবন: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপ। তার জেরে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। আর আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস পেতেই তৎপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। গোসাবা বিডিও অফিস ও প্রতিটি পঞ্চায়েতে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোলরুম। এলাকায়-এলাকায় চলছে মাইকিং।
ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি দেখছে সুন্দরবন। ফি বছর প্রাকৃতিক ঝড়-ঝঞ্ঝায় বিধ্বস্ত হয় বাদাবনের এই জায়াগাকে। ক্ষতিগ্রস্ত হন এখানকার বাসিন্দারা। আর এইসব কিছুর মধ্যেই ৮ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ফলত ঘুম ছুটেছে এখানকার মানুষদের। একই অবস্থা প্রশাসনের।
সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী এলাকা বলতে মূলত গোসাবা,বাসন্তী, ক্যানিং,কুলতলি। তার মধ্যে গোসাবা ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ৯ টি দ্বীপের মধ্যেই অবস্থিত। প্রবল বৃষ্টিপাত আর ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বারে-বারেই নদীবাঁধ ভাঙে সুন্দরবনের এই সব এলাকায়। সেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিভিন্ন গ্রাম। তাই গোসাবার ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। আর বিডিও অফিসের কন্ট্রোলরুম থেকেই প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্বল মাটির নদীবাঁধ গুলির উপর বাড়তি নজরদারির নির্দেশ জারি করা হয়েছে সেচ দফতরের উপরে। গোসাবা ব্লক প্রশাসন অতীতের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই সমস্ত ধরনের সতর্কতামূলক বন্দোবস্ত তৈরি রাখছে। যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যথাযথ ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।
একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে ও সতর্ক করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা যাতে এই সময়ের মধ্যে কেউ না মাছ, কাঁকড়া ধরতে না যান তাঁদেরকেও সতর্ক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দুর্বল নদী বাঁধের ওপরে সেচ দফতর ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে যৌথভাবে বাড়তি নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রতিনিয়ত জেলার সঙ্গে সমস্ত তথ্য আদান প্রদান করা হচ্ছে। গোসাবার পাশাপাশি বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি ও কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকায় সেখানেও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে বৃষ্টিপাত ও ঝড় সম্পর্কে সতর্ক করার কাজ করছে ব্লক প্রশাসন। পাশাপাশি মাঠে নেমেছে উপকূল থানার পুলিশও। মৈপীঠ উপকূল থানার পুলিশ ওসি মধুসুদন পালের নেতৃত্বে রীতিমতো গ্রামে গ্রামে মাইক প্রচার করে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে।