Royal Bengal in Locality: নদীর পাড়ে টাটকা পায়ের ছাপ, বাঘ খুঁজতে এবার পাথরপ্রতিমায় উড়বে ড্রোন!
Royal Bengal in Locality: সোমবার সকালে ঠাকুরান নদীর চরে মিলেছে বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ। বনকর্মীদের অনুমান, নদীর ধার বরাবরই লোকালয়ের দিকে যাচ্ছে বাঘটি। বন দফতর নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তার পাশেই দেখা যাচ্ছে পায়ের ছাপ।
পাথরপ্রতিমা: বড়দিনের সকালেও আতঙ্কে কাঁটা পাথরপ্রতিমার বাসিন্দারা। সাত সকালে নদীর ধারে গিয়ে দেখা গেল একেবারে তরতাজা পায়ের ছাপ। অর্থাৎ রয়্যাল বেঙ্গল এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকা। কৃষকরা চাষের কাজ করতে পারছেন না, মৎস্যজীবীরা যেতে পারছেন না জলে। বাঘের ভয়ে ঘরে বন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে দিন। বাঘের গতিবিধি ধরতে পারছেন না তাঁরা। কখনও এদিকে, কখনও ওদিকে বাঘ ঘোরাফেরা করছে। ছাপ দেখেই বুঝতে হচ্ছে, কোথায় রয়েছে বাঘ। সারা রাত মশাল জ্বালিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? এবার বন দফতর ভাবছে, ড্রোন উড়িয়ে বাঘ খুঁজতে হবে লোকালয়ে। টোপ দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর পঞ্চায়েতের উপেন্দ্রনগর গ্রামের বাসিন্দারা কার্যত সকলেই ঘরবন্দি। সোমবার সকালে ঠাকুরান নদীর চরে মিলেছে বাঘের পায়ের টাটকা ছাপ। বনকর্মীদের অনুমান, নদীর ধার বরাবরই লোকালয়ের দিকে যাচ্ছে বাঘটি। বন দফতর নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছে। তার আশপাশেই বাঘটি রাতে ঘোরাঘুরি করেছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
লোকালয়ের জঙ্গলের ভেতরে রয়েছে বাঘটি। যাঁরা নদীতে মাছ বা কাঁকড়া ধরে সংসার চালান, তাঁরা বেরতে পারছেন না। পাশাপাশি ধান কাটার কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাঘের ভয়ে। বনকর্মী ও পুলিশ মোতায়েন করা আছে এলাকায়। এদিন বেলা বাড়ার পর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পায়ের ছাপ ধরে বাঘের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। প্রয়োজনে ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গলের ভিতরে থাকা বাঘের সন্ধান চালানো হবে। বাঘের অবস্থান জানার পর বন দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হবে।