বাসে কায়দা করে এক কোণে মেয়েটিকে চেপে দিয়েই কুকীর্তি সারেন ব্যক্তি! হলুদ ট্যাক্সিতেই পর্দাফাঁস করলেন পুলিশকর্তা

South 24 Parganas: এদিকে ট্যাক্সির যাত্রাপথে যত পুলিশকর্মী ছিলেন, সকলকে ট্যাক্সির নম্বর জানিয়ে দিয়েছিলেন সৌভিক।

বাসে কায়দা করে এক কোণে মেয়েটিকে চেপে দিয়েই কুকীর্তি সারেন ব্যক্তি! হলুদ ট্যাক্সিতেই পর্দাফাঁস করলেন পুলিশকর্তা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 8:07 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একে বাসে বেশ ভালই ভিড় ছিল। তার ওপর কিছুটা হলেও অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন যুবতী। কিন্তু যতক্ষণে তাঁর অবচেতন মনের সুযোগ নিয়ে ব্যাগের চেন খুলে মোবাইলটা বার করে নিয়েছিলেন ব্যক্তি, তা ভালই বুঝতে পেরে যান যুবতী। অতঃপর চোর চোর চিত্কার। কিন্তু ভিড় বাসের মধ্যে তাঁকে নাতহাতে ধরতে পারেননি। এরই মধ্যে চোর মহাশয় তো বাস থেকে নেমে সটান ট্যাক্সিতে উঠে পড়েন! আরও বিপদ! যুূবতীও নাছোড়বান্দা। বাস থেকে নেমেই চোর চোর চিত্কারে সামনে এসে দাঁড়ান সেই ট্রাফিক সার্জেন্ট। একেবারে ট্যাক্সির পিছনে ধাওয়া। অতঃপর চোরকে নাতেহাতে পাকড়াও, উদ্ধার মোবাইলও। কয়েক মিনিটের মধ্যে বাস থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিলেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। সঙ্গে ধাওয়া করে গ্রেফতারও করা হয় চোরকেও। পুলিশের এমন ভূমিকায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।

বুধবার বাসন্তী হাইওয়ের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের এক নম্বর গেটের কাছে সাড়ে আটটা নাগাদ ডিউটিতে ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট রথীন্দ্রনাথ লায়েক। এই সময় হঠাৎই শ্যামবাজার-মালঞ্চ রুটের একটি বাস থেকে নেমে আসা এক মহিলা তাঁকে জানান, বাসের মধ্যে তাঁর মোবাইল চুরি করে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।

মহিলার চেঁচামেচিতে বাস থেকে নেমে চোর ট্যাক্সিতে উঠে পালানোর চেষ্টা করছেন। তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি ইন্সপেক্টর সৌভিক চক্রবর্তীর নির্দেশে এবার অবিলম্বে সেই ট্যাক্সির পিছনে ধাওয়া করেন রথীন্দ্রনাথ। সঙ্গে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার শুভেন্দু মণ্ডল।

এদিকে ট্যাক্সির যাত্রাপথে যত পুলিশকর্মী ছিলেন, সকলকে ট্যাক্সির নম্বর জানিয়ে দিয়েছিলেন সৌভিক। প্রায় দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর বামনঘাটার কাছে ধরা পড়েন মোবাইল চোর। জেরায় জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম শেখ মনিরুল। তিনি আপাতত কলকাতা পুলিশের লেদার কমপ্লেক্স থানায় হেফাজতে।

মোবাইল ফিরেয়ে দেওয়া হয় তার মালিকের কাছে। আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন যুবতী। কলকাতা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুবতী বলেন, “ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বার করছেন, বুঝতে পেরেই চিত্কার করি। বাস থেকে নেমে ট্যাক্সি উঠে পড়েন ওই ব্যক্তি। হাল ছাড়িনি। পুলিশকে জানাই। তবে এত তাড়াতাড়ি মোবাইলটা যে পেয়ে যাব ভাবিনি।” কলকাতা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “পুলিশ চাইলে কী না করতে পারে, আজ নিজে বুঝতে পারলাম। আমি বলা মাত্র স্যার ট্যাক্সির পিছনে ধাওয়া করেন।”

পুলিশ কর্তার কথায়, “এটা বড় কোনও ব্যাপার নয়। সাধারণ মানুষের সেবার জন্যই আমরা আছি। এটাই আমাদের ডিউটি। মেয়েটি মোবাইল ফিরে পেয়েছেন, এটাই বড় ব্যাপার।” আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েতে কাজের জন্য মহিলারা এলেই নজর পড়ে ওঁর….’ নিজের দলেরই নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক