Sundarban Medical Negligence: জেনারেটর চালাতে দেরি, দেওয়া গেল না নেবুলাইজার, রেমাল-দুর্যোগের রাতে সুন্দরবনে হাসপাতালে শেষ সদ্যোজাত

Sundarban Medical Negligence: শিশুর পরিবারের দাবি, রেমালের দুর্যোগের কারণে হাসপাতালে ছিল না বিদ্যুৎ পরিষেবাও। বিদ্যুৎ না থাকায় চালানো হয়নি জেনারেটর। ফলে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার না দিতে পারায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। শিশুর পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, "অনেক ডাকাডাকি করলে প্রায় আধ ঘণ্টা পর চিকিৎসক গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন।

Sundarban Medical Negligence: জেনারেটর চালাতে দেরি, দেওয়া গেল না নেবুলাইজার, রেমাল-দুর্যোগের রাতে সুন্দরবনে হাসপাতালে শেষ সদ্যোজাত
হাসপাতালে সদ্যোজাতর মাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2024 | 10:56 AM

সুন্দরবন:  দুর্যোগের দিনই সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্ট। তাও আবার সুন্দরবনে। কিন্তু সে সন্তানকে রাখতে পারলেন না মা।  নেপথ্যে উঠল সুন্দরবন হাসপাতালের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ। আর তা নিয়ে শোরগোল। অভিযোগ, সদ্যোজাতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল।  হাসপাতালে ভর্তির পরও শিশুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে হাসপাতালে মেলেনি কোন চিকিৎসক। এমনকি বিদ্যুৎ না থাকায় চালানো হয়নি জেনারেটরও। ফলে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার না দিতে পারায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত শিশুর বাবা লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপারের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার পক্ষ থেকে একটি দল সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ঘটনার তদন্তে যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারি জয়ন্ত সুকুল।

রবিবার রাতভর রেমালের ধাক্কা সামলে সোমবার সকালে সাগরের খানসাহেব আবাদ এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর মোহতা তাঁর এক মাসের শিশু কন্যাকে ভর্তি করেছিলেন সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই শিশু। অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির পর শিশুর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলেও হাসপাতালে মেলেনি কোনও চিকিৎসক।

শিশুর পরিবারের দাবি, রেমালের দুর্যোগের কারণে হাসপাতালে ছিল না বিদ্যুৎ পরিষেবাও। বিদ্যুৎ না থাকায় চালানো হয়নি জেনারেটর। ফলে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার না দিতে পারায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। শিশুর পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, “অনেক ডাকাডাকি করলে প্রায় আধ ঘণ্টা পর চিকিৎসক গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার দেওয়ার জন্য চালানো হয় জেনারেটর। ততক্ষণে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।” চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে শিশুর বাবা-মা। হাসপাতালে জরুরি ব্যবস্থা থাকলেও দুর্যোগের মধ্যে কেন তা ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত শুকুল বলেন, “আমাদের ওখানে জেনারেটর রয়েছে। চালাতে হয়তে দেরি হতে পারে। নেবুলাইজ করতে দেরি হতে পারে। আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের টিম যাচ্ছে। তদন্ত করে দেখবে। কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই পদক্ষেপ করা হবে।”