Sundarban Tiger Attack: ঝোপ করে ঘাড়ের ওপর ঝাঁপ, মাংস খুবলে বেরিয়ে এল হাড়! সঙ্গীরা সাক্ষী থাকলেন বন্ধুর পরিণতির

Sundarban Tiger Attack: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখিল মন্ডল নামে ওই মৎস্যজীবী গ্রামেরই অনিমেশ মন্ডল ও ননীগোপাল মণ্ডল নামে দুই সঙ্গীর সঙ্গে বৃহষ্পতিবার ভোরে ডিঙি নৌকায় জঙ্গলের নদীতে গিয়েছিলেন।

Sundarban Tiger Attack: ঝোপ করে ঘাড়ের ওপর ঝাঁপ, মাংস খুবলে বেরিয়ে এল হাড়! সঙ্গীরা সাক্ষী থাকলেন বন্ধুর পরিণতির
সুন্দরবন বাঘের হামলায় মৃত্যু (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 11:27 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডিঙি নৌকার সামনের দিকে বসেছিলেন তিনি। আর সে ছিল ঝোপের মধ্যে। শ্যেন দৃষ্টি রেখেছিল শিকারের ওপর। সুযোগ বুঝেই একেবারে ঘাড়ের ওপর থাবা। মাংস খুবলে বেরিয়ে আসে হাড়। সঙ্গীর সামনে থেকেই প্রৌঢ়কে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায় বাঘ। ফের সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর। নিহতের নাম নিখিল মণ্ডল (৫০)। মৃত মৎস্যজীবীর বাড়ি গোসাবা ব্লকের লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরি এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখিল মন্ডল নামে ওই মৎস্যজীবী গ্রামেরই অনিমেশ মন্ডল ও ননীগোপাল মণ্ডল নামে দুই সঙ্গীর সঙ্গে বৃহষ্পতিবার ভোরে ডিঙি নৌকায় জঙ্গলের নদীতে গিয়েছিলেন। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের ঝিলা ৪ নম্বরে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার গিয়েছেন। এটাই তাঁদের পেশা। আশঙ্কা থাকে হামলার, জীবনের ঝুঁকে নিয়েই বাঘের ডেরায় পাড়ি দেন ওঁরা। কিন্তু এদিন বিপদ একদম ঘাপটি মেরে বসেছিল জঙ্গলের ভিতর।

নদীতে খাঁড়িতে নেমে কাঁকড়া ধরার জন্য ওই তিন জন প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময় সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে। ঝোপের মধ্যে থেকেই নিখিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। প্রত্যক্ষদর্শী দুই সঙ্গী জানাচ্ছেন, নিখিলের একেবারে ঘাড়ে থাবা বসায় বাঘটি। তাঁরা লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু আকস্মিকতার ঘোর কাটিয়ে ওঠার আগেই বাঘটি নিখিলকে টানতে টানতে নিয়ে যায় জঙ্গলে। চোখের সামনেই সঙ্গীকে ক্ষতবিক্ষত হতে দেখেন দুজনে। লাঠি, বৈঠা নিয়ে তখনও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন নিখিলের সঙ্গীরা। কিন্তু বাঘ ততক্ষণে শিকার টেনে জঙ্গলে ঢুকে যায়।

বাধ্য হয়েই বন্ধুকে ছেড়ে নৌকা নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন বাকি দুজন। উল্কা গতিতে ছড়িয়ে পড়ে বাঘের হামলার খবর। গ্রামে শোকের ছায়া। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছিলেন নিখিল। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে ঝুঁকি মাথায় নিয়েই কাঁকড়া ধরতে যেতেন জঙ্গলে। স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ স্ত্রী চঞ্চলা। আর মেয়ের চোখের জল বাঁধ মানছে না। টিনের চালের ছোট্ট এক চিলতে ঘরে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। তবে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারোরই। ওই গ্রামের সবাই তো এই পেশার সঙ্গেই যুক্ত। মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়েই যে চলছেন ওঁরা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মৎস্যজীবীরা কোন বৈধ অনুমতি ছাড়াই কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন সুন্দরবনের নদী লাগোয়া খাঁড়িতে।

আরও পড়ুন: Biswajit Das On BJP: ‘বিজেপিতেই আছি’, মুকুল রায়ের পর এবার বিশ্বজিৎ! ফের ভোলবদল বিধায়কের

আরও পড়ুন: TMC Meeting In Kalighat: কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক, অভিষেক কোন পদে? তুঙ্গে চর্চা