Sundarbans Tiger: দিব্যি খোশমেজাজে রয়েছে, চেটে পুটে সাফ করেছে ১০ কেজি মাংস! ঝড়খালিতেই নিভৃতবাসে সুন্দরবনের সেই বুড়ো বাঘ
Jharkhali Tiger: বনদফতরের আধিকারিকরা জানান, গতরাতে বাঘটিকে দশ কেজি কাঁচা মাংস খেতে দেওয়া হয়। সবটাই খেয়ে ফেলে বাঘ। মাংস ছাড়াও তাকে ওআরএস দেওয়া হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গোসাবার খাঁচাবন্দি বাঘের চিকিত্সা চলছে ঝড়খালিতে। পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে রাখা হয়েছে ঝড়খালি অ্যানিমাল পার্ক অ্যান্ড রেসকিউ সেন্টারে। বনদফতরের আধিকারিকরা জানান, গতরাতে বাঘটিকে দশ কেজি কাঁচা মাংস খেতে দেওয়া হয়। সবটাই খেয়ে ফেলে বাঘ। মাংস ছাড়াও তাকে ওআরএস দেওয়া হয়।
বাঘটিকে পর্যবেক্ষণ করছেন পশু চিকিত্সক আশুতোষ বিশ্বাস। তবে বাঘটিকে ফের জঙ্গলে ছাড়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, বাঘটির বয়স হয়েছে। শিকার করার ক্ষমতার তার রয়েছে কি না, জঙ্গলে ছাড়া হলে সে বিপদে পড়বে কি না, এই সব বিষয়গুলি চিন্তা ভাবনা করছেন বনদফতরের আধিকারিকেরা। জঙ্গলে ছাড়া না হলে তাকে ঝড়খালির রেসকিউ সেন্টারেই রেখে দেওয়া হতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে গোসাবার বালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাখণ্ড বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামবাসীদের নজরে আসে বাঘের একাধিক পায়ের ছাপl এমনকি লোকালয়ের একটি বাড়িতে এক ছাগলের দেহও উদ্ধার হয়। উল্কাগতিতে ছড়িয়ে পড়ে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও বনকর্মীরা।
বুধবার ভোর ৪:৫০ মিনিট নাগাদ গোসাবার মথুরাখণ্ড গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে পাতা খাঁচায় খাবারের লোভে ঢুকে পড়ে বাঘটি। বাঘটি পূর্ণ বয়স্ক। বয়স ৮-১০ বছর হতে পারে। ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, “বাঘটি সুস্থ, তবে ওর যথেষ্ট বয়স হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বাঘটির বেশ ভালোই বয়স রয়েছে। তার শিকার করার মতো ক্ষমতা কমে গিয়েছে।”
লোকালয়ে বাঘের হানা এখন নিত্য দিনের বিষয় হয়ে উঠেছে গোসাবায়। কীভাবে বাঘে লোকালয়ে আসা বন্ধ করা যায়, সুন্দরবনের ব্যাঘ্র সংরক্ষণের কাজকে আরও গতিশীল করা যায়, সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে l একই সঙ্গে নেট ফেন্সিং কেটে মৎস্যজীবীদের অবৈধভাবে জঙ্গলে প্রবেশ কীভাবে রোখা যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার থেকেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় নেট ফেন্সিংয় লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে নাইলনের জাল লাগানোর পর থেকেই খুব ভালো সুফল মিলেছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন বিভাগেরl যে কারণে গোসাবা, বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কিংবা কুলতলীর বিস্তীর্ণ গ্রামগুলোতে বাঘের আনাগোনা বেশ অনেকটাই কমে গিয়েছিল বলা যেতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে আবারও নতুন করে বাঘের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। একেবারে সরাসরি জঙ্গল থেকে বাঘ ঢুকে পড়ছে কুলতলি, গোসাবা কিংবা বাসন্তীর ঝড়খালি এলাকায়।
আরও পড়ুন: বুধে বঙ্গে বৃষ্টির দামট, উধাও শীত, সপ্তাহান্তে ‘হাওয়া বদল’…কী বলছেন আবহবিদরা?