Canning Murder: ‘খুন হয়ে যাওয়ার’ খবর ছিল খোদ তৃণমূল বিধায়কের কাছে, তারপরও কেন তৎপর হল না প্রশাসন?

West Bengal: জানা গিয়েছে, গোপালপুরে খুন হওয়া তিনজনই তৃণমূল নেতা। এদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সদস্য।

Canning Murder: 'খুন হয়ে যাওয়ার' খবর ছিল খোদ তৃণমূল বিধায়কের কাছে, তারপরও কেন তৎপর হল না প্রশাসন?
এলাকা ঘুরে দেখলেন স্থানীয় বিধায়ক (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2022 | 3:20 PM

ক্যানিং: খুন হয়ে যেতে পারেন! জানিয়েছিলেন খোদ বিধায়ককেই। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই সবটা শেষ হয়ে গেল। ক্যানিংয়ে হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঠিক এমনই তথ্য সামনে এসেছে।

জানা গিয়েছে, গোপালপুরে খুন হওয়া তিনজনই তৃণমূল নেতা। এদের মধ্যে একজন পঞ্চায়েত সদস্য। বাকি দু’জন বুথ সভাপতি। বুধবার রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাদের। দেহে এলোপাথাড়ি কোপের চিহ্ন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুলির খোল, বোমার দাগ। বাইক আটকে হামলা হয়েছে এমনটাই জানা গিয়েছে প্রাথমিক তদন্তে।

এ দিন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। এসেছেন স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাস। তাঁরা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে এসে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছেন। পরেশরাম দাস জানান, ‘পরশুদিন স্বপন গিয়েছিল পার্টি অফিসে। ও আগেই আন্দাজ করে আমায় বলেছিল আমি যে কোনও মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারি। এইসব জানার পর আমি আইসিকে জানিয়েছিলাম। আজকে দুপুরবেলা বাড়িতে ডেকেও ছিলাম। ভেবেছিলাম এসপি-র সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় সমস্যা সামাধানের চেষ্টা করব।তবে দুর্ভাগ্য সকাল ন’টার মধ্যেই দলীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় খুন হতে হয় তাঁকে।’ তিনিও এই ঘটনার দায় বিজেপি-র ঘাড়ে চাপিয়ে বলেছেন, ‘বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। সেই কারণে ওরা এই কাজ করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পায়ের তলার মাটি পেতেই এই কাজ।’

অপরদিকে, সওকত মোল্লা বলেন, ‘এলাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনও অস্তিত্ব নেই। সমাজ বিরোধীরা একত্রিত হয়েছে বিজেপি-র মদতে। এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কারণ স্বপন আমাদের সক্রিয় পঞ্চায়েত সদস্য। বাকি দু’জন বুথ সভাপতি। একজন ভূতনাথ অপরজন ঝন্টু। দু’জনই সক্রিয় সদস্য। স্বাভাবিক কারণে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই এলাকাকে উত্তপ্ত করতেই এই কাজ করেছে। তবুও, বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না। পরিকল্পিত ভাবেই এই খুন।’ ব্যক্তিগত শত্রুতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’ পাশাপাশি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগও তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।

জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, ‘ওই এলাকা উত্তপ্ত। তৃণমূল নেতারা দীর্ঘদিন ধরে কাটমানির জন্য, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অত্যাচার করে। বিজেপি এর আগে লোকাল থানায় ডেপুটেশন দিয়েছিল যাতে এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি-র কোনও যোগ নেই।’