Attack on CPIM: সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ, অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে, দোষ ‘কবুল’ তৃণমূলের

Attack on CPIM: সড়কপথে সুন্দরবনের মূল সংযোগ মাধ্যম এই বাসন্তী হাইওয়ে। ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধের জেরে ব্য়াপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

Attack on CPIM: সিপিএমের মিছিলে হামলার অভিযোগ, অবরুদ্ধ বাসন্তী হাইওয়ে, দোষ ‘কবুল’ তৃণমূলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2022 | 1:35 PM

ভাঙড়: ভাঙড়ে সিপিএমের (CPIM) মিছিলে হামলার অভিযোগ। প্রথমে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের সঙ্গে বাম কর্মীদের বচসা হয় বলে খবর। পরবর্তীতে মিছিলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামনে এসেছে এলাকার দুই তৃণমূল (TMC) নেতার নাম। আহত বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী। শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে হামলার কথা ‘স্বীকার’ করে নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা। এদিকে ঘটনার পরই বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বামেরা। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে লেদার কমপ্লেক্স থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সড়কপথে সুন্দরবনের মূল সংযোগ মাধ্যম এই বাসন্তী হাইওয়ে। সেই ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধের জেরে ব্য়াপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের মদতেই তৃণমূল কর্মীরা এই কাজ করছে বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

সূত্রের খবর, এদিন ভাঙড়ে পাইখান এলাকা থেকে হাতিশালা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল সিপিএম। এই মিছিলেই হামলার অভিযোগ উঠেছে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জুলফিকার মোল্লা এবং রশিদ মোল্লার বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার কথা পরবর্তীতে ‘স্বীকার’ করে নেন রশিদ মোল্লা। তাঁর সাফ দাবি মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন বাম কর্মীরা। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “৩৪ বছর মিথ্যার ধাপ্পা দিয়ে চালিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাজে কথা বলছিল ওরা। এটা কী মেনে নেওয়া যায়? খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের জন্য মমতা কত কী করছেন! তারপরেও গালাগালি দিয়ে স্লোগান দিলে তা মেনে নেওয়া যাবে না।” 

পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারবেন না? এটা গণতন্ত্রে তাই বলে নাকি। এখন তো যত বড় দুষ্কৃতী তত বড় তৃণমূলের নেতা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে রক্ত এই কথা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন। ওদের মনে আছে? এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে পঞ্চায়েতে পেলে কত, খেলে কত, হিসাব চাই, হিসাব দাও। হিসাব দেওয়ার ভয়ে তৃণমূলে কাঁপছে। গোটা বাংলায় বামপন্থীরা যেভাবে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলছে তাতে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে বলে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করছে। পুলিশ ছাড়া তৃণমূলের এই বাড়বাড়ন্ত হতে পারে না।”