Panchayat Elections: বিজেপি প্রার্থীর দেহ ‘ছিনতাই’? হাসপাতাল চত্বরেই বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি
Panchayat Elections: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ভোলানাথ। অভিযোগ, ২২ জুন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন।
ডায়মন্ড হারবার: পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসায় রাজ্যে পড়েছে একের পর এক লাশ। ক্রিকেটের স্কোরবোর্ডের মতো হু হু করে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। ভোট (Panchayat Election 2023) মিটলেও থামেনি হানাহানি। এরইমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দেখা গেল এক অভূতপূর্ব ছবি। যে অভিযোগ সামনে এল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। ভোট হিংসায় আহত এক বিজেপি প্রার্থীর দেহ হাসপাতাল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের এক উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। যদিও শাসকদল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চলল হাসপাতালের সামনে। তুমুল ধস্তাধস্তি চলল তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অর্থাৎ, এবার লাশ নিয়েও দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে বাংলার বুকে। সূত্রের খবর, ভোট হিংসার কবলে পড়ে আহত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ দাস। ভর্তি ছিলেন ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বিজেপির অভিযোগ, মৃতদেহের ময়নাতদন্ত না করেই তা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
স্থানীয় রসপুঞ্জের উপপ্রধান পবন মণ্ডলের নেতৃত্বে তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী এসে ভোলানাথের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে দেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য করতে থাকে। এদিকে হাসপাতালের সামনেই তৃণমূলের লোকজনদের ধরে ফেলে বিজেপির লোকজন। বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ সর্দার ও বিজেপির কর্মীরা সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই দেহ নিয়ে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেন উপপ্রধান। সেই ফাঁকে নিহত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের লোকজনদের বুঝিয়ে তৃণমূলের লোকজনেরা দেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে বিষ্ণুপুরে দিকে রওনা দেয়।
লাগাতার আক্রমণ
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিষ্ণুপুর-১ ব্লকের কেওড়াডাঙা পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ভোলানাথ। অভিযোগ, ২২ জুন তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও করিয়েছিলেন। একটু সুস্থ হয়েই নেমেছিলেন ভোটের ময়দানে। এরপর ভোট গণনার দিন ফের তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে ভয়ে চলে শিরাকলে শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ডায়মন্ড হারবারে আনা হয়। সেখানেই ভর্তি ছিলেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। এদিকে এদিনের ঘটনার পর হাসপাতালে চত্বরে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপির কাছেও অভিযোগ জানান।
এদিকে এখনও ময়দানে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নবান্নে হয়েছে হাইপ্রোফাইল বৈঠক। সিআরপিএফ, বিএসএফ, রাজ্য পুলিশের কর্তারা বসে ঠিক করেছেন অ্যাকশন প্ল্যান। কিন্তু, মাঠে-ময়দানে মারা পড়ছেন গরিব মানুষ। এই হিংসার আগুন আর কতদিন? উঠছে প্রশ্ন।