ISF-TMC: ISFকে রুখতে বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি; রণক্ষেত্র ভাঙড়ে দাঁড়িয়ে বললেন নওশাদ সিদ্দিকি
South 24 Parganas: স্থানীয় তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলামের অভিযোগ, পতাকা লাগানোর নাম করে আইএসএফের ছেলেরা আরাবুল ইসলামের নামে গালিগালাজ করছিলেন।
ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আইএসএফের পতারা নিয়ে সমর্থকদের একটি ট্রাক এগিয়ে আসছে। আর সেই ট্রাককে লক্ষ্য করে লাঠি ছোড়া হচ্ছে। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটান। আরও একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লাঠি দিয়ে ফেলে পেটানো হচ্ছে একজনকে। যদিও তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। শনিবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়।
জানা গিয়েছে, শনিবার আইএসএফের একটি সভা আছে কলকাতার রানি রাসমণি রোডে। আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই সভা। শনিবার ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীরা কেউ বাইকে, কেউ পিকআপ ভ্যানে, কেউ ছোট ট্রাকে হাতিশালা এলাকার উপর দিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন, অভিযোগ সেই সময় হামলা করা হয়।
এলাকার তৃণমূল কর্মীরা হাতিশালায় জমায়েত করে আইএসএফের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, লাঠি ছুড়তে থাকেন। এরপরই লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে এই খবর পেয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে যাওয়ার বার্তা দেন। হাতিশালায় এক জায়গায় সমবেত হন আইএসএফ কর্মীরা।
অভিযোগ, এরপর আরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল ও আইএসএফের কর্মীরা মুখোমুখি হন হাতিশালা এলাকায়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এরইমধ্যে নওশাদ সিদ্দিকি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ বলেন, “আমাদের কর্মসূচিটা বানচাল করার জন্য এই করছে। আমি আমার সমর্থকদের এখান থেকে নিয়ে যাব। পুলিশ এখানে নীরব দর্শক। তবে আমিও এখানে অশান্তি করতে দেব না।”
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, “বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন বুথে পতাকা টাঙানোর নাম করে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে আইএসএফ। নওশাদ সিদ্দিকি এখানকার বিধায়ক, পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসেনি। অথচ ওনার লোকেরা যেভাবে জুলুম করছে, সেটা সকলেই দেখছেন। কালও আমাদের একটা ছেলে আহত হয়েছে। ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। আমাদের ছেলেরা খবর পেয়ে পৌঁছতেই পালিয়ে যায়। আজ উত্তর গাজিপুরে হয়েছে, চালতাবেড়িয়া, শানপুকুরেও বুথে বুথে ঝামেলার চেষ্টা করছে।”