Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panchayat Violence: কুলপিতে পঞ্চায়েত হিংসার বলি কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী পেলেন হোমগার্ডের চাকরি

Kulpi: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পর্বে রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুরের বাসিন্দা ওই কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ ছিল, হামলাকারীরা দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত।

Panchayat Violence: কুলপিতে পঞ্চায়েত হিংসার বলি কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী পেলেন হোমগার্ডের চাকরি
নিহত কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রীকে হোমগার্ডের চাকরি দিল রাজ্যImage Credit source: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2023 | 9:07 AM

কুলপি: কুলপির গাজিপুরের নিহত কংগ্রেস কর্মী আলফাজউদ্দিন গাজির পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার পর্বে রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুরের বাসিন্দা ওই কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ ছিল, হামলাকারীরা দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই তৃণমূল আশ্রিত। গুরতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল আলফাজউদ্দিনকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গত ৬ জুলাই হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় ওই কংগ্রেস কর্মীর। শনিবার নিহত ওই কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।

শনিবার বিকেলে কুলপির বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছিল আলফাজউদ্দিনের পরিবারকে। সেখানেই নিহত কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী কাশিরা বিবির হাতে ২ লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের স্পেশাল হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয় আলফাজউদ্দিনের স্ত্রীর হাতে। গতকাল বিকেলে কংগ্রেস কর্মীর পরিবারকে এই সাহায্য প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত, তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, কুলপি থানার ওসি বাপি রায় এবং প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।

নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাবা শাহজাহান হালদার বলছেন, ‘আগে তো আমরা তৃণমূল করেছিলাম। কিন্তু তৃণমূলকে জিতিয়ে আমরা কিছু পাইনি, তাই আমার ছেলে সরে এসেছিল। আজ ২ লাখ টাকা আমার বৌমার হাতে তুলে দিয়েছে আর হোমগার্ডের চাকরি দিয়েছে। মমতাদি ঘোষণা করেছিলেন, আজ তাই দিয়ে দিল।’ তবে গতসন্ধেয় এই আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পর রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন আলফাজের বাবা।

কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলছেন, ‘যা ঘটেছে তা সত্যিই অনভিপ্রেত। আমরা চাইনি এমন কোনও ঘটনা ঘটুক। কিন্তু এমন একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ায়, আমরা সত্যিই খুব দুঃখিত ও মর্মাহত।’