Bishnupur Women Harassment: কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে, প্রতিবাদ করতেই মেয়ের বাবাকে দিতে হল খেসারত!
South 24 pargana: অভিযুক্তের কড়া শাস্তি চাইছে পরিবার।
বিষ্ণপুর: অনেকদিন ধরেই এক কলেজ ছাত্রী মেয়েটিকে উত্যক্ত করত পাড়ারই এক যুবক। কিন্তু পাত্তা না পাওয়ায় জোর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে সে। আর তারপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। পরে নির্যাতিতা পালিয়ে এলেও পিছু ছাড়েনি বিপদ। গোটা ঘটনায় এখন খেসারত দিচ্ছে মেয়েটির বাবা।
কী ঘটেছিল? ঘটনাস্থান বিষ্ণুপুর। নির্যাতিতা মেয়েটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অনেকদিন ধরেই এলাকারই এক যুবক তাকে উতক্ত করছিল। কিন্তু তার আবেদনে সাড়া দেয়নি ছাত্রী। হয়ত এরই মাশুল গুণতে হল তাকে। গত ১৫ তারিখ প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু তখনও বোঝেনি পথেই ওঁত পেতে রয়েছে বিপদ। অভিযুক্ত যুবক সুযোগ বুঝে দলবল নিয়ে মেয়েটিকে তুলে গিয়ে আটকে রাখে। এরপর জোর করে বিয়ে করে তাঁকে। অভিযোগ আর তারপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সে।
এদিকে, বাড়িতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়ে পরিবার। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এইভাবে কেটে যায় তিনদিন। গত ১৮ তারিখ ফের অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই সময় নির্যাতিতা কোনও ভাবে পালিয়ে আসে তাঁর বাবার কাছে। বাড়িতে এসে গোটা ঘটনা খুলে বলে সে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে গোটা পরিবার। তখন মেয়েকে বাঁচাতে কলকাতায় তার কাকার বাড়িতে রেখে আসে নির্যাতিতার বাবা।
এদিকে, অভিযুক্ত যুবক তখনও ক্ষান্ত হয়নি। অভিযোগ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। গোটা ঘটনায় তার রাগ গিয়ে পড়ে মেয়েটির বাবার উপর। অভিযোগ, ছাত্রীর বাবাকেও অপহরণ করে সে। বাবার খোঁজ না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। এরপর থেকে ছাত্রীর ফোনে ও তার মায়ের ফোনে অভিযুক্ত যুবক ফোন করে মেয়েটির বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পাশাপাশি বলা হয় যদি মেয়েটি তার বাবাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেতে চায় তাহলে ওই ছাত্রীকে তার সঙ্গে থেকে সংসার করতে হবে।
এই অবস্থায় গরীব পরিবার বারবার বিষ্ণুপুর থানায় যাচ্ছে। কিন্তু কোনও রকম ভাবেই কিছু করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শেষমেশ ওই ছাত্রী প্রশাসনের কাছে আবেদন করছে যেন তার বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারকে যেন গ্রেফতার করা হয়।