Canning: ছোটো শিশুটিকে গালাগাল করছিল প্রতিবেশীরা, প্রতিবাদ করায় মা-কে বেধড়ক মার

Crime: শুধু মাম্পি নয় সঙ্গে তার শাশুড়ি কবিতা সরকার ও স্বামী শুভ সরকারও জবা দেবীকে মারধর করে।

Canning: ছোটো শিশুটিকে গালাগাল করছিল প্রতিবেশীরা, প্রতিবাদ করায় মা-কে বেধড়ক মার
ক্যানিয়ে মহিলাকে মারধর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 6:30 AM

ক্যানিং: বাড়ির পাশে খেলছিল ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু তাও পছন্দ হয়নি। এরপরই শুরু যত সমস্যা। মেয়েটিকে অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করতে থাকে তারা। এরপর সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই অভিযোগ মেয়েটির মা-কেও মার খেতে হয়। জখম মহিলাকে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি ক্যানিং থানার (Canning Police Station) অন্তর্গত দিঘীরপাড় গ্রামপঞ্চায়েতের তাঁতকল পাড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধেয় জবা সরকারের ছোট্ট মেয়ে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। সেই সময় হঠাৎ প্রতিবেশি মাম্পি সরকার (Mampi Sarkar) মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। ‘মেয়ে কেন কটূক্তি করছেন ?’ এই প্রশ্ন করতেই অভিযোগ আচমকাই মাম্পি সরকার জবা দেবীকে মারধর করতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ উঠছে যে শুধু মাম্পি নয় সঙ্গে তার শাশুড়ি কবিতা সরকার ও স্বামী শুভ সরকারও জবা দেবীকে মারধর করে।

প্রতিবেশীদের বেধড়ক মারে ওই গৃহবধুর বাঁ-হাত,বাঁ-পা সহ শরীরের বাঁ-দিক মারাত্মক ভাবে জখম হয়। ঘটনায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। খবর পেয়েই গৃহবধুর স্বামী ও অন্যান্যরা দৌড়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে ।বর্তমানে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধু চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে ক্যানিং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধুর স্বামী। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ (Canning Police Station)।

এর ঠিক কিছুদিন আগে বাজি পড়ানো নিয়ে মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসে। দশমীর রাতে বাজি পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয় এক মহিলা আইনজীবীকে। বালুরঘাট (Balurghat) শহরের উত্তর চকভবানী এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যরা বালুরঘাট জেলা আদালতের এক মহিলা আইনজীবী বাড়ির সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিষিদ্ধ আতশবাজি ফাটায়। বারবার এনিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করলেও তারা কোনও কথা কানে তোলেনি বলেই অভিযোগ। বারণ করা সত্ত্বেও কিছুক্ষণ অন্যদিকে বাজি ফাটিয়ে ফের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাতে থাকে তারা। ওই একই দিনে রাত সাড়ে এগারোটার পর ফের বাড়ির সামনে নিষিদ্ধ আতশবাজি ফোটানো হয়। সেই সময় ওই মহিলা আইনজীবীর বাবা বাড়ির বাইরে এসে এর প্রতিবাদ করেন।

অভিযোগ, প্রতিবাদ জানানোর সঙ্গে-সঙ্গে স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা আইনজীবীর বাবাকে মারধর করে। বিষয়টি নজরে আসতেই ওই আইনজীবী তাঁর দিদি বাবাকে বাঁচাতে যান। সেই সময় তাঁকেও রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় এবং টানতে টানতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় বাবা ও ওই মহিলা আইনজীবী জখম হন। বালুরঘাট সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে বাবা ও মেয়ে ভর্তি থাকার পর পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁরা।

আরও পড়ুন: T20 World Cup 2021: শাহিনের স্পেলটাই টিমের বিশ্বাস তৈরি করে দিয়েছিল, বলছেন বাবর