AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপি নয় মমতাই চান বাংলায় ৩৫৬! বললেন দিলীপ ঘোষ

তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নাকি চান, বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক। কিন্তু কেন?

বিজেপি নয় মমতাই  চান বাংলায় ৩৫৬! বললেন দিলীপ ঘোষ
ফাইল ছবি
| Updated on: Dec 14, 2020 | 1:05 PM
Share

দক্ষিণ দিনাজপুর: ‘৩৫৬’! এটাই এখন বঙ্গ রাজনীতির যুযুধান প্রতিপক্ষের অস্ত্র। বঙ্গ বিজেপি প্রয়োগ করার পক্ষে আর গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হাঁটছেন প্রজাতান্ত্রিক পথেই। শাসকদল অবশ্য এইসবে বিশেষ আমল দিতেই নারাজ। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই তত্ত্বে সংযোজন করলেন নতুন অধ্যায়। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (CM Mamata Banerjee) নাকি চান, বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক। কিন্তু কেন?

তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হলে, দিদিমণি সুবিধা পাবেন। বলবেন, আমাকে সরিয়ে দিয়েছে।” আর সেই কারণেই তাঁরা রাষ্ট্রপতি শাসন চান না বলে স্পষ্ট জানান।

যখন মুকুল, কৈলাশরা ৩৫৬-র পক্ষে সওয়াল তুলছেন, বাংলার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রজাতান্ত্রিক উপায়ে লড়াইয়ের বুনিয়াদকে শক্ত করছিলেন। তবে কি সেটা এই কারণেই? রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করলে কি সত্যিই ‘এক্সট্রা অ্যাডভানটেজ’ পেয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আর সেই কারণেই কি অন্য খেলা খেলছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব? জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এবিষয়ে দিলীপ ঘোষকেই সোমবার বলতে শোনা গিয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হয়তো নিজের সুবিধার জন্য রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করাতে চাইছেন। আর তার জন্য বাংলা জুড়ে হাঙ্গামা তৈরি করছেন।” গত অক্টোবরে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। বাংলার বিজেপি নেতাদের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাটা সঙ্গত।” তাঁর কথাতেই প্রথম জল্পনা উস্কায়। কিন্তু পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখেই শোনা যায় অন্য সুর।

তিনিই বলেন, অনেকে হয়তো আবেগের বশে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই বাংলার শাসকদলকে ক্ষমাতে থেকে সরাতে চান তাঁরা। আবার শেষবারে জেপি নাড্ডার বঙ্গসফরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারও প্রসঙ্গটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, “বাংলায় অস্বাভাবিকতাই এখন স্বাভাবিক! কোনও কিছুই নিয়মে নেই। এই রকম আর কোথাও নেই।” যদিও নাড্ডাও সাংবাদিক বৈঠকে বলে একেবারে নিশ্চিত করেই বলে গিয়েছে, “প্রজাতান্ত্রিক উপায়েই লড়াই করে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণেই উন্নয়নের টাকা ব্যবহার করতে ‘বাধা’, ফিরহাদকে লেখা চিঠিতে বিস্ফোরক বিধায়ক

তবে দিলীপ ঘোষ যখনই কিছু বলেন, তখন তা থাকে চর্চিত। ৩৫৬ নিয়ে এবার তাঁর এই ভিন্ন আঙ্গিকে চিন্তাও যে রাজনৈতিক দিক থেকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ, তা মনে করছেন বিশ্লেষকরা।