নতুন এসেই ক্ষমতার জাহির! তৃণমূলে নেতা বনাম নেতার লড়াইয়ের বলি ২ ‘উলুখাগরা’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিস বাহিনী। টহল দিচ্ছে কমব্যাট ফোর্স।
দক্ষিণ দিনাজপুর: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী কোন্দল। চলল বেপরোয়া গুলি। মৃত দুই তৃণমূল কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুরে। মৃতদের নাম কালিপদ সরকার (৪৫) । মাথায় গুলি লেগে গুরুতর আহত সঞ্জিত সরকার নামে আরও এক তৃণমূল কর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁরও।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে জেলা সভাপতি গৌতম দাসের বিবাদ দীর্ঘদিনের। লড়াই মূলত ক্ষমতা জাহিরের। গৌতম দাস কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁর হাত ধরে দলে এলেন, তাঁকেই টেক্কা দিয়ে ক্ষমতা বাড়াতে থাকেন গৌতম। আর তা নিয়েই বিবাদ।
একুশের নির্বাচনের আগে তা চরমে উঠেছে। এদিকে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তিনি এলাকায় বিপ্লব মিত্রের খাস লোক বলেই পরিচিত। এদিকে বিপ্লব মিত্রের লোকই এদিনের সংঘর্ষে গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
কী থেকে আজকের ঘটনার সূত্রপাত? গঙ্গারামপুরের সুকদেব এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই দু’পক্ষের চাপা লড়াই এদিন বাইরে বেরিয়ে আসে। বচসা চলাকালীন বিপ্লব মিত্রের অনুগামী গুলি চালাই। মাথায় গুলি লাগে সঞ্জিত সরকারের। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চলতে থাকে হাতাহাতি। তারই মাঝে পড়ে যান কালিপদ সরকার। বুকে চোট লাগে তাঁর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে চিকিৎসকরা জানান, হাই ব্লাড প্রেসার ও হাই সুগার ছিল কালিপদ সরকারের। ফলে ধস্তাধস্তিতে দ্রুত হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যায় তাঁর। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সঞ্জিত সরকার।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তিনি প্রার্থী? আজ খেজুরি থেকে ২১ বছরের ‘সঙ্গী’কে জবাব দেবেন শুভেন্দু!
গুলিচালনায় অভিযুক্ত সুমন দাসের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। গোটা এলাকা উত্তেজিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিস বাহিনী। টহল দিচ্ছে কমব্যাট ফোর্স।