Jamalpur: বৃদ্ধ দম্পতিকে ‘মারধর’, থানায় অভিযোগ হতেই ‘চুপি চুপি’ আগাম জামিন তৃণমূল নেতার সাগরেদদের

Jamalpur: জামালপুরের ওই দম্পতির ছেলে ও বৌমার মধ্যে দাম্পত্য অশান্তিচলছিল। এরইমধ্যে পুত্রবধূ বাড়ি ছেড়ে চলে যান। খোরপোষের মামলা করেন। এদিকে এই মামলা যখন আদালতে বিচারাধীন, সেই সময় গত ১৪ জুন কোর্টের বাইরেই বিষয়টি মেটাতে সালিশি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ আজাদ রহমান সেই সালিশি ডাকেন।

Jamalpur: বৃদ্ধ দম্পতিকে 'মারধর', থানায় অভিযোগ হতেই 'চুপি চুপি' আগাম জামিন তৃণমূল নেতার সাগরেদদের
চকদিঘির তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2024 | 2:39 PM

পূর্ব বর্ধমান: সালিশি সভায় না যাওয়ায় বৃদ্ধ দম্পতির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। জামালপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তবে সেই মামলায় ‘গোপনে’ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে চলে যান বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত। এবার চকদিঘি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিযুক্ত শেখ আজাদ রহমান হাজির হলেন বর্ধমান আদালতে। আগাম জামিন পেতেই হাজির হন তিনি।

জামালপুরের ওই দম্পতির ছেলে ও বৌমার মধ্যে দাম্পত্য অশান্তিচলছিল। এরইমধ্যে পুত্রবধূ বাড়ি ছেড়ে চলে যান। খোরপোষের মামলা করেন। এদিকে এই মামলা যখন আদালতে বিচারাধীন, সেই সময় গত ১৪ জুন কোর্টের বাইরেই বিষয়টি মেটাতে সালিশি সভা ডাকা হয়। অভিযোগ তৃণমূল নেতা শেখ আজাদ রহমান সেই সালিশি ডাকেন।

সেখানে বৃদ্ধ দম্পতি বা তাঁর ছেলে, কেউই যাননি। অভিযোগ, তাতেই চটে লাল হয়ে যান আজাদের লোকজন। সেদিন রাতেই ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। মারধর, খুনের হুমকি, এমনকী বৃদ্ধার সঙ্গে অশালীন ব্যবহারও করার অভিযোগ ওঠে। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই পরিবার। পরে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও জেলার পুলিশসুপারকে অভিযোগ জানান বলে দাবি করেন।

২৫ জুন পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুর থানার পুলিশ এফআইআর রুজু করে। নোটিস পাঠানো হয় ১২ জনকে। অভিযোগ, পুলিশের নোটিস পেতেই লুকিয়ে ১২ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে নেন। এমনও অভিযোগ ওঠে, এই জামিনের আবেদনের কোনও বিরোধিতাই করা হয়নি আদালতে।

তবে চকদিঘি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আজাদ রহমানকেও পুলিশ নোটিস দিয়েছিল। সোমবার তিনিও বর্ধমান আদালতে হাজির হন। এদিন কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে আগেই তিনি বলেছিলেন, ওই পরিবারকে তিনি ভাল করেই চেনেন। সালিশি সভা ডাকার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গ্রাম্য বিবাদে এই ঘটনা বলেও জানান তিনি। মিথ্যা তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।