হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য

এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি।

হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিল রাজ্য
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক রহস্যমৃত্যু মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতে
Follow Us:
| Updated on: Jan 05, 2021 | 2:25 PM

নয়া দিল্লি: হেমতাবাদের  বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু মামলায় (Hemtabad BJP MLA Murder Case) সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল রাজ্য। বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি ছিল। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ফের বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চেই শুনানি হবে। উল্লেখ্য, এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল সিআইডি।

২০১৯ সালের ১৩ জুলাই বন্ধ দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর হাত বাঁধা ছিল। পকেট থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তৃণমূল প্রথম থেকেই এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছিল। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, আত্মহত্যা করলে একজন মানুষের হাত বাঁধা কী করে থাকতে পারে? এটিকে পরিকল্পিত খুন বলেই অভিযোগ করেছে বিজেপি।

এই ভাবেই উদ্ধার হয়েছিল বিধায়কের দেহ

স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার দিন রাত দশটা পর্যন্ত চায়ের দোকানেই ছিলেন দেবেন্দ্রনাথবাবু। তারপর বাড়ি যান। রাত একটা নাগাদ একটি বাইককে তাঁর বাড়ির দিকে যেতে দেখেছিলেন কয়েকজন। খুনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি। তবে দেবেন্দ্রনাথবাবুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। মৃত্যুর পর গলায় ফাঁস লাগানো হয়নি। গলায় ফাঁসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এক্ষেত্রে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কাউকে খুন করা হলে দাগ এক টানা থাকে। কিন্তু দেবেন্দ্রনাথবাবুর গলার দাগ সেকথা বলছে না বলেই দাবি করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও পরিবার খুনের অভিযোগেই অনড় থাকেন।

আরও পড়ুন: ‘আমাদেরও বোকামি হয়েছে আসল সত্যটা বুঝতে পারিনি’, কিসান নিধিতে সায় মমতার

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থেকে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন দেবেন্দ্রনাথ রায়। ২০১৯-এ তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা এখনও অব্যাহত।