Sundorbon Tiger: রাতে যদি হানা দেয় বাঘমামা! সন্ধে থেকেই বাজি ফাটানো হচ্ছে এলাকায়

Sundorbon Tiger: মাত্র কয়েকদিন আগেই কুলতলিতে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল বাঘ। এবার ফের আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়।

Sundorbon Tiger: রাতে যদি হানা দেয় বাঘমামা! সন্ধে থেকেই বাজি ফাটানো হচ্ছে এলাকায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2022 | 12:19 AM

সুন্দরবন : ফের বাঘের আতঙ্ক। পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে ঠিকই, তবে এখনও দেখা পাওয়া যায়নি তার। শুক্রবার সকাল থেকেই চেষ্টা চলছে বাঘ খোঁজার। এবার বাজি ফাটানো হচ্ছে যাতে রাতে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে না পড়ে। সন্ধের পর থেকে বাজি ফাটানো হচ্ছে এলাকায়। গোসাবার চরঘেরি গ্রামে রাতে অভিনব ভাবে বাজি ফাটানো হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। চর এলাকায় একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। মৎস্যজীবীরাই গ্রামের দিকে থাকা গোমর নদীর চর ধরে এগোতে থাকেন। সেখানে পায়ের ছাপ দেখতে পান বলে দাবি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনকর্মীরাও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাঘটি এখন আছে ১০ নম্বর চরঘেরি এলাকায়।

বন দফতর গ্রামের দিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ করছে। যাতে নদী সাঁতরে আবার নিজের জঙ্গলে ফেরত যেতে পারে বাঘটি, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সজনেখালি, বসিরহাট রেঞ্জের সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আরও বন কর্মীরা সেখানে চলে গিয়েছেন। সেখানে রয়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা জোন্স জাস্টিন।

সপ্তাহ খানেকও পেরোয়নি। ৬ দিন ধরে বাঘবন্দির খেলার সাক্ষী ছিলেন সুন্দরবনবাসী। বাঘকে ধরতে গিয়ে গত ছ’দিনে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বনকর্মীদের। ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীদের অভিযান, পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীদের জল স্প্রে, জঙ্গলে লঙ্কা বোমা নিক্ষেপ- কী না করা হয়েছে! কিন্তু বাঘ ছিল তার নিজের অবস্থানেই। বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পাননি। শোনা যাচ্ছিল তার গর্জন, চোখে পড়ছিল পায়ের ছাপ, শুধু দেখা দিচ্ছিল না সে-ই।

কয়েকদিন ধরে অভুক্ত ছিল বাঘটি। তাই সে যেখানে ছিল, সেখান থেকে বের হচ্ছিল না। বাঘটির দেখা মিলতেই পরপর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। গুলি করার কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলে ডোরাকাটাকে পরীক্ষা করতে যান পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মীরা।

গত বুধবার সাতসকালে বনদফতরের তরফে রামগঙ্গা রেঞ্জের অন্তর্গত ঢুলিভাসানি ৪ নম্বর জঙ্গলেরামগঙ্গা রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা চালা বাঘটিকে।

আরও পড়ুন : Asansol Mine Fire: খনিগর্ভে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, সেখানেই ধসে তলিয়ে গেলেন ইসিএলের আধিকারিক