Arjun Singh:তৃণমূল বনাম বিজেপি ফেরত তৃণমূল? অভিষেকের প্রস্ততি সভায় হামলা নিয়ে নাম না করে সোমনাথকে কটাক্ষ অর্জুনের
Arjun Singh: ‘পিঁপড়ে হাতিকে কাটলে খুব আনন্দ পায়’, অভিষেকের প্রস্তুতি সভায় হামলা প্রসঙ্গে নাম না করে সোমনাথকে কটাক্ষ অর্জুনের।
জগদ্দল: সদ্য বিজেপি(BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ব্যারকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (MP Arjun Singh)। যদিও দলবদল নিয়ে রোজই পদ্ম শিবিরের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়ছেন এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। যা নিয়ে চাপান উত্তেজনা রয়েছে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে। বিজেপির পাশাপাশি অনেক আদি তৃণমূল(Trinamool) নেতাও অর্জুন প্রত্যাবর্তনকে ভালো চোখে দেখেননি বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একটা বড় অংশের। এরই মধ্যে ৩০ মে জগদ্দলে যাওয়ার কথা তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। তোড়তোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁর সভার। কিন্তু, তাঁর প্রস্তুতি সভায় দুষ্কৃতি তাণ্ডবের খবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
অভিযোগ, এদিন আচমকা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী কালা বাবুর নেতৃত্বে একদল গুন্ডা প্রস্তুতি মঞ্চে হামলা চালায়। সভার চেয়ার-টেবিল ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে সোমনাথ শ্যামের দিকে। তাঁর মদতেই কালা বাবু দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে গোটা এলাকা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ফেরার কালা বাবু। তাঁর খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে জগদ্দল মতিভবন এলাকায়। তবে বিতর্ক এড়াতে প্রশাসনের দিকে দায় ঠেলে দেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।
এদিকে নাম না করে সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় তথা বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, “মনোজ পান্ডে, রাজ পান্ডে, কালা বাবুর দলবল এসব করেছে। ওরা সব হেরোইন ব্যবসা, জুয়ার ঠেক চালায়। সবকটা সমাজবিরোধী। তবে যাদের নির্দেশে এসব হচ্ছে তারাও তৃণমূলের লোক, আমরাও। অর্জুন সিং দলে ফেরাতে পায়ের তলায় একজনের মাটি সরে যাচ্ছে তাই এসব করছে। ভাটপাড়া-জগদ্দলের বড় তৃণমূল নেতারা এখন অর্জুন সিংকে মানতে পারছেন না।” তোপ দাগেন জগদ্দলের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। এদিনের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এসব বলতেও লজ্জা করছে। এলাকার বিধায়কের লোকেরাই এসব করেছে। সাংসদের সঙ্গে সবাই আছে। কিন্তু, ওরা মানতে চাইছে না। এরা সব নতুন লোক। আমার গাড়িতেও হাত দিয়েছে। আমরা ঘটনার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি”। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অর্জুন সিং বলেন, “পিঁপড়ে হাতিকে যখন কাটে তখন খুব আনন্দ পায়। ভাবে আমি কেটে দিয়েছি। কিন্তু, হাতি যখন একটা ফুঁ মারে তখন পিঁপড়ে মরে যায়। কিছু লোক আছে যাঁরা ক্রিমিন্যাল পলিটিক্স করছে। সবটাই পার্টির নজরে আছে”।