Chopra: ‘গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরিয়ে দৌড় করাবে’, নাম না করে প্রাক্তন বাম মন্ত্রীকে নিশানা TMC বিধায়কের
TMC vs CPIM: তৃণমূল বিধায়ক যদিও সরাসরি কারও নাম করেননি, তবে বিধায়কের নিশানায় ছিলেন বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক।
চোপড়া: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে ততই তপ্ত হচ্ছে রাজনীতির বাতাবরণ। অতীতে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মুখে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য শোনা গিয়েছে। তবে তিনি এখন রয়েছেন জেল হেফাজতে। তিনি বলছেন, ‘ভদ্রভাবে ভোট হবে। নিরপেক্ষ ভোট হবে।’ আর এদিকে অন্যান্য রাজনীতিকদের গলায় এখন কথার ফুলঝুরি। এবার ‘গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরিয়ে দৌড় করানো’র কথা শোনা গেল চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মুখে। তিনি যদিও সরাসরি কারও নাম করেননি, তবে বিধায়কের নিশানায় ছিলেন বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক। বিধায়কের এ হেন মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।
মঙ্গলবার বিকেলে চোপড়া ব্লকের হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাপতিয়া জুনিয়ার হাই স্কুল মাঠে তৃণমূলের একটি রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চ থেকেই নাম না করে বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন শাসক দলের বিধায়ক। বললেন, “আগের বার প্যান্ট খুলে জাঙ্গিয়া পরে দৌড়িয়েছিল। এবারও পাঠাবে। এবার পাঠালে কিন্তু শুধু জাঙ্গিয়া পরে না, শার্টটা নিয়ে গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরে পাঠাবে, তারপর ওর আক্কেল হবে।” সেই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, চাপড়া বিধানসভার লোক বহু সুযোগ দিয়েছিল ওকে। বিধায়ক করেছিল, মন্ত্রী করেছিল। তখন এলাকার লোকের উন্নয়নের ব্যাপারে কোনও চিন্তাভাবনা করতে পারেনি। এখন মিথ্যা, ভাওতাবাজি কথা খালি বলে বেরান। পাবলিক যদি পেটায়, তাহলে কি তৃণমূলের দোষ হবে?”
বিষয়টি নিয়ে আনওয়ারুল হকের প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও চোপড়ার সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার অবশ্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষা সংস্কৃতি এই রকমই। এটা মানুষ বুঝে গিয়েছে। ওরা ধমকে, চমকে, ভাষা-সন্ত্রাস করে আমাদের ভয় দেখাতে চাইছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা জনগনের কাছে সবটা তুলে ধরব।”