Raiganj Timber Recovery: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে? তৃণমূল নেতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাজেয়াপ্ত লক্ষাধিক টাকার কাঠ
Timber Seized: গোডাউন না ভাঙায় পদক্ষেপ করে প্রশাসন। আর তাতেই চক্ষু চড়ক গাছ প্রশাসনের। সেই নির্মাণ উচ্ছেদ করতে গিয়েই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে কাঠ।
রায়গঞ্জ: এ যেন একেবারে কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ার উপক্রম। রায়গঞ্জের (Raiganj) কর্ণজোড়া এলাকায় জেলাশাসকের বাংলো লাগোয়া এলাকায় একটি সরকারি জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছিল। সেখানে গোডাউন তৈরি করা হচ্ছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের দলনেতা অনিল দেবনাথের স্ত্রী বেলা বসাক দেবনাথের। এদিকে ওই জমি পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ করে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। ১৬ অক্টোবর প্রশাসনের তরফে ওই নির্মাণ ভেঙে সরকারি জমি খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও গোডাউন না ভাঙায় পদক্ষেপ করে প্রশাসন। আর তাতেই চক্ষু চড়ক গাছ প্রশাসনের। সেই নির্মাণ উচ্ছেদ করতে গিয়েই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে কাঠ।
লক্ষাধিক টাকার কাঠ অবৈধভাবে মজুত করা হচ্ছিল বলে দাবি বন দফতরের। বন দফতরের রায়গঞ্জ ডিভিশনের বনাধিকারিক কমল সরকার জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া কাঠের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই কাঠগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে বন দফতর। অবৈধ কাঠ রাখার অভিযোগে বন দফতর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। যদিও অনিল দেবনাথের স্ত্রী বেলা বসাক দেবনাথের দাবি, ওই কাঠ বৈধভাবেই কেনা হয়েছিল। অনিল বাবু এই ঘটনায় ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও, কোনও বড় চক্রান্তের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। যদিও এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় জেলাশাসকের বাংলো সংলগ্ন এলাকায় শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বন দফতরের অভিযান চলে।
এদিকে তৃণমূল নেতার স্ত্রীর বক্তব্য, তিনি কর্ণজোড়া এলাকাই এক ব্যক্তির থেকে বৈধভাবে গাছ কিনেছিলেন। এই কাঠগুলি সেই গাছেই বলে দাবি বেলা বসাক দেবনাথের। তবে বন দফতরের দাবি, কোনও বৈধ কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি, সেই কারণে ওগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাতটি ট্রাক্টরে করে ওই বিপুল পরিমাণ কাঠ গোডাউন থেকে নিয়ে যায় বন দফতর।